আগমনী বার্তা নিয়ে বসন্তের স্বাগত দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ২:১৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২৫ তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি বসন্তের আগমন মানেই প্রকৃতিতে এক নতুন প্রাণের জাগরণ। আর এই ঋতুর সৌন্দর্যকে আরও দৃষ্টিনন্দন করে তোলে বনজুঁই ফুল। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আনাচে-কানাচে থোকা থোকা বনজুঁইয়ের মনোমুগ্ধকর উপস্থিতি বসন্তের আগমন বার্তাকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। বনজুঁই ফুলের পরিচিতি বনজুঁইয়ের বৈজ্ঞানিক নাম ক্লেরোডেনড্রাম ইনারমি। এটি গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ, যা ২-৪ মিটার লম্বা হয়। পাতা পানপাতার আকৃতির ও কিছুটা খসখসে। ফুলের পাপড়ি সাদা, মাঝে বেগুনি রঙের মিশেল এবং পুংকেশর ফুলটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। পাপড়ি ঝরে পড়ার পর লালচে বৃতির মাঝখানে সবুজ বা বেগুনি বীজটি যেন কারুকাজ খচিত অলংকারের মতো দেখায়। বনজুঁইয়ের সৌন্দর্য ছাড়াও রয়েছে ওষধি গুণ। এটি ম্যালেরিয়া, চর্মরোগ এবং পোকা-মাকড়ের কামড়ে প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। স্থানীয় ভাষায় ‘ভাটফুল’ কমলগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দারা একে ‘ভাটফুল’ বা ‘ভাটিফুল’ নামেও চেনেন। এক সময় এটি গ্রামাঞ্চলে ক্ষেত-খামারের ধারে, বাড়ির পাশে এবং রেললাইনের ধারে প্রচুর দেখা যেত। এখনো বসন্তে এই ফুল তার রূপ ছড়িয়ে প্রকৃতিকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তোলে। ফুলপ্রেমীদের আকর্ষণ বনজুঁইয়ের মিষ্টি গন্ধ ও মনোহর রূপ প্রজাপতি, মৌমাছি এবং নানা প্রজাতির কীটপতঙ্গকে আকর্ষণ করে। ফুল থেকে মধু সংগ্রহের জন্য এসব প্রাণীর আনাগোনা চোখে পড়ে। স্থানীয়দের অভিমত কমলগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আলী মর্তূজা বলেন, “ঋতুরাজ বসন্তে বনজুঁই তার রূপ-যৌবন ছড়িয়ে প্রকৃতিকে আরও সুন্দর করে তোলে। এটি বাংলাদেশের আদি ফুল এবং নানান গুণে গুণান্বিত।” বসন্ত মানেই প্রকৃতির এক অনন্য উদযাপন। বনজুঁই ফুল তার সৌন্দর্য আর সুবাস দিয়ে বসন্তকে আরও রঙিন করে তোলে। এর মনোহর রূপ ও সুগন্ধ ফুলপ্রেমীদের হৃদয়ে স্থান করে নেয়, যা প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা আরও গভীর করে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: