তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
বসন্তের আগমন মানেই প্রকৃতিতে এক নতুন প্রাণের জাগরণ। আর এই ঋতুর সৌন্দর্যকে আরও দৃষ্টিনন্দন করে তোলে বনজুঁই ফুল। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আনাচে-কানাচে থোকা থোকা বনজুঁইয়ের মনোমুগ্ধকর উপস্থিতি বসন্তের আগমন বার্তাকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে।
বনজুঁইয়ের বৈজ্ঞানিক নাম ক্লেরোডেনড্রাম ইনারমি। এটি গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ, যা ২-৪ মিটার লম্বা হয়। পাতা পানপাতার আকৃতির ও কিছুটা খসখসে। ফুলের পাপড়ি সাদা, মাঝে বেগুনি রঙের মিশেল এবং পুংকেশর ফুলটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। পাপড়ি ঝরে পড়ার পর লালচে বৃতির মাঝখানে সবুজ বা বেগুনি বীজটি যেন কারুকাজ খচিত অলংকারের মতো দেখায়।
বনজুঁইয়ের সৌন্দর্য ছাড়াও রয়েছে ওষধি গুণ। এটি ম্যালেরিয়া, চর্মরোগ এবং পোকা-মাকড়ের কামড়ে প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
কমলগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দারা একে ‘ভাটফুল’ বা ‘ভাটিফুল’ নামেও চেনেন। এক সময় এটি গ্রামাঞ্চলে ক্ষেত-খামারের ধারে, বাড়ির পাশে এবং রেললাইনের ধারে প্রচুর দেখা যেত। এখনো বসন্তে এই ফুল তার রূপ ছড়িয়ে প্রকৃতিকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তোলে।
বনজুঁইয়ের মিষ্টি গন্ধ ও মনোহর রূপ প্রজাপতি, মৌমাছি এবং নানা প্রজাতির কীটপতঙ্গকে আকর্ষণ করে। ফুল থেকে মধু সংগ্রহের জন্য এসব প্রাণীর আনাগোনা চোখে পড়ে।
কমলগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আলী মর্তূজা বলেন,
“ঋতুরাজ বসন্তে বনজুঁই তার রূপ-যৌবন ছড়িয়ে প্রকৃতিকে আরও সুন্দর করে তোলে। এটি বাংলাদেশের আদি ফুল এবং নানান গুণে গুণান্বিত।”
বসন্ত মানেই প্রকৃতির এক অনন্য উদযাপন। বনজুঁই ফুল তার সৌন্দর্য আর সুবাস দিয়ে বসন্তকে আরও রঙিন করে তোলে। এর মনোহর রূপ ও সুগন্ধ ফুলপ্রেমীদের হৃদয়ে স্থান করে নেয়, যা প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা আরও গভীর করে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এস এম নজরুল ইসলাম, সহ- সম্পাদকঃ জাহিদ হোসেন (সজল)
চৌকস মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক চৌকস ভবন চরকালিগঞ্জ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং আল আমিন প্রিন্টার্স এন্ড প্যাকেজ লিঃ ১৪৩/বি চৌধুরীপাড়া ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৬/৫৭ শরীফ ম্যানশন (৪র্থ তলা) মতিঝিল বা/এ,ঢাকা-১০০
মোবাইলঃ +৮৮০১৭১৬-১২৭৮১১, +৮৮০১৯৩৩-৯৪৮৫৬৭
ই-মেইলঃ dainikchoukos@gmail.com, choukasinfo@gmail.com
ওয়েবসাইটঃ www.dainikchoukos.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত