কুড়িয়ে পাওয়া সজারুকে ভালোবাসায় পোষ মানালেন লিটন মিয়া

প্রকাশিত: ১১:৩৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২৫

সাগর আহমেদ :

জেলার ঘাটাইল উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের কুশারিয়া গ্রামে অটো চালক লিটন মিয়া ১১ মাস ধরে একটি সজারুর ছানাকে লালন-পালন করছেন।

 

এক দুর্ঘটনা থেকে উদ্ধার:

লিটন মিয়া ১১ মাস আগে দুর্গম পাহাড়ি রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় সজারুর ছানাটিকে উদ্ধার করেন। এরপর তিনি সেটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং তার পরিবারসহ সজারুটির পরিচর্যা শুরু করেন। সজারুটির নাম রাখা হয়েছে ‘পাগলা’, যা এখন পরিবারের এক অমূল্য সদস্য।

সজারুর জীবনযাত্রা :

পাগলা সজারু বাড়ির পাশে ঘুরে বেড়ায় এবং খাবারের জন্য ডাক পেলেই দ্রুত বাড়ি ফিরে আসে। লিটন মিয়া জানান, পাগলা কলা, আলু, ফুলকপি, বাধাকপি এবং পাউরুটি খেতে বেশ পছন্দ করে। যদিও পাগলার জন্য ঘরের বাইরে খড় দিয়ে ঘুমানোর জায়গা তৈরি করা হয়েছিল, সে সেখানে ঘুমায় না; বরং মাটির নিচে নিজের সুরঙ্গ তৈরি করে বিশ্রাম নেয়।

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞের মতামত:

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এক সময় বাংলাদেশে শজারুর সংখ্যা বেশ ছিল, তবে বর্তমানে তাদের অবস্থা বিপন্ন। শজারুর শরীরে ১৪ থেকে ২৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত কাঁটা থাকে, এবং এর ওজন ১০ থেকে ১৮ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এরা সব ধরনের শাকসবজি, ফলমূল এবং দানাশস্য খায়।

আইনগত সুরক্ষা: 

এছাড়া, ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী, শজারু একটি সংরক্ষিত প্রজাতি এবং এর শিকার বা হত্যা আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধ।