রানীশংকৈলে বিষফোড়া: অবৈধ ইটভাটার দৌরাত্ম্য দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ৬:০৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫ ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈলে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ ইটভাটা। এসব ইটভাটার বেশিরভাগেরই নেই বৈধ লাইসেন্স। উর্বর জমির মাটি কেটে নির্বিচারে ইট তৈরি করা হচ্ছে, যা কৃষি জমি এবং পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইটভাটার অবস্থান রানীশংকৈলের ইটভাটাগুলো জনবসতিপূর্ণ এলাকায় স্থাপিত। মহলবাড়ী থেকে মাত্র এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যেই চারটি অবৈধ ইটভাটা চালু রয়েছে। এসব ভাটার মালিকরা অদৃশ্য শক্তির জোরে এবং প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় কার্যক্রম পরিচালনা করে রাতারাতি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। পরিবেশ দূষণ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি ইটভাটাগুলোতে পোড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে পুরনো প্লাস্টিক, টায়ার, এবং কাঠকয়লা। এসব পদার্থ পোড়ানোর ফলে নির্গত বিষাক্ত কালো ধোঁয়া আশপাশের পরিবেশকে ভয়াবহভাবে দূষিত করছে। মানুষের স্বাস্থ্য: কালো ধোঁয়ার কারণে স্থানীয়দের মধ্যে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কৃষি ও পরিবেশ: বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে ফসলের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। প্রাণিকূল ও জলাশয়: গাছপালা, পশুপাখি, এবং জলাশয়ের জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রশাসনের ব্যর্থতা অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হলেও তা শুধুই লোক দেখানো। মালিকরা টাকা দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পুনরায় তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে জানান, “লোকবলের অভাবে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।” জনমত ও ভবিষ্যৎ ব্যবস্থা স্থানীয়রা দাবি করেছেন, এসব অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া রানীশংকৈলের পরিবেশকে বাঁচানো সম্ভব নয়। উপসংহার:অবৈধ ইটভাটাগুলো রানীশংকৈলের পরিবেশ এবং জনজীবনের ওপর বিষফোড়ার মতো প্রভাব ফেলছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তবে এ ক্ষতির পরিমাণ দীর্ঘমেয়াদে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। SHARES আইন আদালত বিষয়: