কড়া নিরাপত্তায় কালাইয়ে ২৮টি মণ্ডপে চলছে পূজার আয়োজন

News News

Admin

প্রকাশিত: ১১:০৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫

 

মো:সুমন মন্ডল
জয়পুরহাট(কালাই) প্রতিনিধি:

সারা দেশের মতো জয়পুরহাটের কালাই উপজেলাতেও আজ রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। পাঁচ দিনব্যাপী এ মহোৎসব আগামী বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

কালাই উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর উপজেলার মোট ২৮টি পূজামণ্ডপে জাঁকজমকপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি মণ্ডপে ভক্তদের উপস্থিতি ও উৎসবের আবহ ইতোমধ্যেই এক আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু অশোক দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক বাবু উত্তম কুমার মহন্ত (বিটল) জানান , এবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় আরও শক্তিশালী। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, আনসার এবং স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে। প্রতিটি মণ্ডপে স্থাপন করা হয়েছে নজরদারি ব্যবস্থা ও টহল দল।

মণ্ডপে আসা ভক্তদের মধ্যে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতো। কালাই উপজেলা বাসিন্দা শ্রী সুমনচন্দ্র মালি বলেন, “সারা বছর অপেক্ষায় থাকি দুর্গোৎসবের জন্য। বন্ধু-বান্ধব আর পরিবারের সঙ্গে প্রতিমা দর্শন সত্যিই অন্যরকম অনুভূতি।”

উৎসবকে ঘিরে স্থানীয় বাজার ও দোকানপাটেও জমে উঠেছে বেচাকেনা। কালাই উপজেলা ব্যাবসায়ীরা বলেন, “দুর্গাপূজাকে ঘিরে এলাকায় উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। এ সময় বেচাকেনাও বাড়ে, সবাই খুশি থাকে।”

এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও প্রশাসনের প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: জাহিদ হোসেন বলেন, “দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসন সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা চাই, এ উৎসব সবার জন্য আনন্দ ও সম্প্রীতির বার্তা বয়ে আনুক।”

 

শাস্ত্র মতে, দেবী দুর্গা ভক্তদের দুঃখ-কষ্ট, ভয় ও বিপদ থেকে রক্ষা করেন। মার্কণ্ডেয় পুরাণে বর্ণিত আছে, ত্রেতা যুগে শ্রী রামচন্দ্র রাবণবধের পূর্বে দেবী মহামায়ার কাছে শক্তি প্রার্থনা করেছিলেন। সেই থেকেই শরৎকালে দুর্গাপূজার সূচনা হয়, যা ক্রমে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধানতম উৎসবে রূপ নেয়।

উপজেলার বিভিন্ন মণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, দেবী দুর্গার প্রতিমা ও শিল্পকর্মে নতুনত্ব আনতে কারিগররা নানা নকশা ও শৈল্পিকতায় সজ্জিত করেছেন। ছোট-বড় সবাই মণ্ডপমুখী হয়ে উৎসবে সামিল হয়েছেন।