চাঁদপুরে সোহাগ নামে ভুয়া ডাক্তার সেজে  রোগীদের সাথে প্রতারণা

News News

Admin

প্রকাশিত: ১০:০১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫

চাঁদপুরের সোহাগ ভুয়া ডাক্তার সেজে  রোগীদের সাথে প্রতারণা

চাঁদপুর প্রতিনিধি: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের রামপুর বাজারে ফার্মেসীর আড়ালে চিকিৎসালয় খুলে বসেছেন মো. ইমরান হোসেন (সোহাগ) নামে ভুয়া চিকিৎসক। চিকিৎসা দেয়ার জন্য তার কোন সার্টিফিকেট না থাকলেও সব রোগের চিকিৎসা দেন এমন মাইকিং করেন এলাকায়। তার এই ভুয়া চিকিৎসা কার্যক্রম হাতেনাতে ধরা পড়ার বিভিন্ন স্থানে তদ্বির শুরু করেন। তবে বিষয়টি জানার পর ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ দ্রুত সময়ের মধ্যে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরেজমিন ওই এলাকায় গিয়ে দেখাগেছে, মাকের্টের সামনে সাইনবোর্ডে লেখা ‘মা-মনি মেডিকেল হল’। কিন্তু ওই ফার্মেসীর পিছনে একটি কক্ষে চলে তার চিকিৎসা কার্যক্রম। মাথা থেকে পা পর্যন্ত সব রোগের চিকিৎসা দেন এই ভুয়া চিকিৎসক। ওই কক্ষে লেখা রয়েছে ডাঃ মো. ইমরান হোসেন (সোহাগ)। আবার কিছু স্থানে স্টীকার দিয়ে ডাঃ শব্দ মুছে দেয়া হয়েছে।

তার ওই ফার্মেসীতে গিয়ে রোগী সেজে প্রবেশ করা হয়। তিনিও রীতিমত চিকিৎসা দেয়া শুরু করেন। নাম ছাড়া প্যাডে চিকিৎসাপত্র লেখা শুরু করেন। যখনই বুঝতে পারেন রোগীরা গণমাধ্যম কর্মী তখনই তার লেখা বন্ধ হয়ে যায়। শুরু করেন আকুতি মিনতি। তার এই ধরণের কাজ ভুল হয়েছে, আর করবেন না, তার এহেন অপরাধ জানাজানি হলে ওষুধের ব্যবসা নষ্ট হবে নানা কথা বলতে শুরু করেন।

সোহাগ বলেন, আমি মূলত পল্লী চিকিৎসক। ডাঃ লিখলেও এখন মুছে দিয়েছি। আমার এসব কাজ ভুল হয়েছে। আর করবো না। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় আপনি পল্লী চিকিৎসক লিখেন না কেন? এই কথার উত্তর দিতে পারেননি। নামের নীচে লিখে রেখেছেন ‘বি.এ, ডি.এম.এস’ (ডিপ্লোমা ইন মেডিসিন এন্ড সায়েন্স)।

রামপুর বাজারের স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, তার এই ভুয়া চিকিৎসা কেন্দ্রে কিছুদিন পূর্বে কয়েকজন সাংবাদিক আসে। এরপর কয়েকদিন কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও আবার শুরু করেছে। এলাকায় মাইকিং করে সে এই ধরণের কাজ করছে। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে লোকজন প্রতারণার শিকার হতে থাকবে।

ভুয়া চিকিৎসকের কার্যক্রম বিষয়ে জানানো হয় ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জুয়েলকে। তিনি বলেন, আমি খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এই বিষয়ে বক্তব্যের জন্য চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নুর আলম দীনকে ফোন করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

প্রশাসনের আইনী সহযোগিতা চেয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।