বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ নূর মোহাম্মদের৫৪তমশাহাদতবার্ষিকীতেবিজিবি’রশ্রদ্ধাঞ্জলি

News News

Admin

প্রকাশিত: ১১:১০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫

আনোয়ার হোসেন

নিজস্বপ্রতিনিধিঃ

যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ-এর ৫৪তম শাহাদতবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (৫ই সেপ্টেম্বর) সকালবেলা যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি)-এর উদ্যোগে শার্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠের সমাধিস্থলে গার্ড অব অনার, পুষ্পস্তবক অর্পণ,ও ফাতেহা পাঠ, বিশেষ মোনাজাত এবং তবারক বিতরণ করা হয়।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন ৪৯ বিজিবি’র উপ-অধিনায়ক মেজর নূর উদ্দিন আহমাদ, সহকারী পরিচালক সোহেল আল মুজাহিদ, বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারের সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ-এর ৫৪তম শাহাদতবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। দিবসটি পালনে ৪৯ বিজিবি-এর উদ্যোগে কাশিপুর বিওপি সংলগ্ন বীরশ্রেষ্ঠ সমাধিস্থলে গার্ড অব অনার, পুষ্পস্তবক অর্পণ,ও ফাতেহা পাঠ, বিশেষ মোনাজাত ও তবারক বিতরণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ যে অসামান্য বীরত্ব ও আত্মত্যাগের পরিচয় দিয়েছেন, তা জাতির জন্য চিরকাল গর্বের বিষয়। তাঁর আত্মত্যাগে নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ সাহসিকতার জন্য ভূষিত সাত জন বীরশ্রেষ্ঠের অন্যতম। তিনি ১৯৩৬ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারীতে নড়াইল জেলার মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতাঃ আমানত শেখ ছিলেন একজন কৃষক এবং মাতা জেন্নাতুন নেসা গৃহিনী। শৈশবে বাবা-মাকে হারিয়ে সংসারের দায়িত্ব কাঁধে নিতে হয় তাঁকে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস (বর্তমান বিজিবি)-এর ল্যান্স নায়েক ছিলেন। ১৯৭১ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর যশোরের গোয়ালহাট এলাকায় সহযোদ্ধাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য কভারিং ফায়ার দিতে গিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন। তাঁর অসামান্য সাহ সিকতা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস (বর্তমান বিজিবি)-এর ল্যান্স নায়েক ছিলেন। ১৯৭১ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর যশোরের গোয়ালহাট এলাকায় সহযোদ্ধাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য কভারিং ফায়ার দিতে গিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন। তাঁর অসামান্য সাহ সিকতা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।