নাটোরে মোবাইল চুরির অপবাদে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

News News

Admin

প্রকাশিত: ৭:৪৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫

 

নাটোর প্রতিনিধি,

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল এলাকার সেলিম সরকারের মেয়ে গৃহবধূ সুমাইয়া (২৫) কে মোবাইল চুরির অপবাদে বেধে মারপিট ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর -২০২৫) বিকেলে সুমাইয়া সাংবাদিকদের সামনে বলেন, তার স্বামী মাসুদ রানা হৃদয় (৩০) সিংড়া থানার সরকার পাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। সুমাইয়া বলেন, গত মঙ্গলবার তার স্বামী ১টি মোবাইল হাতে দিয়ে বলে এই ফোনটি তোমাকে দিলাম। তোমার বাবার বাড়িতে যাও গিয়ে দশ হাজার টাকা ধার নিয়ে এসো। সেই দশ হাজার টাকা সমিতি জমা দিয়ে দেড় লাখ টাকা কিস্তি উঠাতে। সুমাইয়া বাবা-মা সঙ্গে বাকবিতন্ডা করে অবশেষে টাকা নিয়ে স্বামীর ভাড়া বাসায় যাওয়ার সময় স্বামী হৃদয় বলে মোবাইল ফোন টি তোমার বাবা’র বাড়িতে রেখে আস। পরে তার স্বামীর ভাড়া বাসায় সুমাইয়া কে স্বামীর যোগসাজশে বাড়িওয়ালার মেয়ে শাপলা ও বাড়িওয়ালা আবুল হোসেন মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে সুমাইয়াকে বেধে মারপিট করে নির্যাতন করে।

এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে সিংড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুমাইয়াকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে মিমাংসার কথা বললে, পুলিশ চলে যাওয়ার পরে সুমাইয়ার বিবা-মা কে কৌশলে স্বামী হৃদয় ডেকে আনে পরে বাবা-মার সামনে মেয়ে কে মোবাইল চুরি অপবাদে মারধর করে। এসময় তারা সুমাইয়া কাছ থেকে ফাঁকা চেক সই করে নেয় বলে অভিযোগ করছে সুমাইয়া। পরে বাবা মা কে ৫০হাজার টাকা দেয়া চাপ দেয় । সুমাইয়া বাবা মা আগামী সোমবার গরু বিক্রি করে টাকা দিতে শিকার করায় সুমাইয়া কে ছেড়ে দেয়। পরে ৫ বছরের ছেলেকে আটকে রেখে তাকে তার বাবা মায়ের সঙ্গে তাড়িয়ে দেয়।

এবিষয়ে সিংড়া থানার ওসি জানান, আমরা এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এই ঘটনায় বাড়িওয়ালা আবুল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা কোন মারপিট ও নির্যাতন করিনি। চুরির বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক ভাবে সুমাইয়ার স্বামী সহ তার বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলে আপোষ-মিমাংসা করা হয়েছে।