দিঘলিয়ার বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পাভেলকে অপসারণ

প্রকাশিত: ৭:১৩ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধি খুলনাঃ

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ২ নং বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সাহগীর হোসেন পাভেলকে অপসারণ করা হয়েছে। তাকে অপসারণ করে তদস্থলে খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক আদেশে উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার পুষ্পেন্দু দাশকে প্রশাসকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে থেকে জানা গেছে, খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস আদেশ স্মারক নং-৩৪৫ তারিখ ৪/৬/২০২৫ ইং সহকারী কমিশনার মোঃ আসাদুজ্জামান আরিফ স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়, খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার ২নং বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদন এবং জনসেবা অব্যাহত রাখার নিমিত্তে জনস্বার্থে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি-১ শাখার ১৯/৮/২০২৪ ইং তারিখের ৬৮৪ নম্বর পরিপত্রের নির্দেশনা মোতাবেক কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে উপজেলা তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সহকারী প্রোগ্রামার পুষ্পেন্দু দাশকে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতাসহ বারাকপুর ইউনিয়নের প্রশাসকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

গাজী সাহাগীর হোসেন পাভেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যরা মৌখিকভাবে চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর অনেকটা লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান বারাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সাহাগীর হোসেন পাভেল। এ সময়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যরা তার অপসারণের দাবিতে লিখিত অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেছিলেন জেলা প্রশাসক বরাবর।

 

উল্লেখ্য দিঘলিয়া উপজেলার ২ নং বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন দুর্বৃত্তের হাতে নিহত হলে তদস্থলে উপনির্বাচনে প্রয়াত চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেনের ভাইপো গাজী সাহাগীর হোসেন পাভেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। উপনির্বাচনের কিছুদিন পর গাজী জাকিরের নানাবিধ প্রতিদ্বন্দ্বী ও গাজী জাকির হোসেন হত্যা মামলার আসামী শেখ আনসার উদ্দিন খুলনা নগরীর শিরোমণি এলাকায় দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন। শেখ আনসার উদ্দিন হত্যা মামলায় গাজী সাহাগীর হোসেন পাভেলকে আসামী করা হয়। ফ্যাসীবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চেয়ারম্যান গাজী সাহাগীর হোসেন পাভেল পলাতক অবস্থায় ঢাকা থেকে গ্রেফতার হন এবং পরবর্তীতে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরও আত্নগোপনে থাকতেন। এ কারণে বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সেবা মারাত্নকভাবে ব্যাহত হচ্ছিল।