কোতোয়ালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানাধীন গেরদা ইউনিয়নের নিখুঁদি গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রী পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে উধাও হয়েছেন। ভুক্তভোগী প্রবাসী এরশাদ চোকদার অভিযোগ করেছেন, তার স্ত্রী শিউলি আক্তার আপন খালাতো ভাই আঃ করিমের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন এবং পাঁচ বছর বয়সী কন্যা সন্তানকে রেখে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থসহ পালিয়ে গেছেন।

এরশাদ চোকদার জানান, বিদেশে কঠোর পরিশ্রম করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে স্ত্রীর জন্য সোনার গহনা ও নগদ টাকা পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি দেশে ফিরে জানতে পারেন, তার স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছেন। তিনি মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্ত্রীকে ক্ষমা করে দেন। তবে কিছুদিন পরই স্ত্রী পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান।

তিনি আরও জানান, তার শ্বশুর গফুর শেখ শুরুতে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও পরে হুমকি দিতে থাকেন। এরশাদ চোকদার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং কোর্টেও মামলা করেছেন। তিনি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।

এই ঘটনার ফলে স্থানীয়ভাবে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।

*সম্পর্কিত ঘটনা:*

এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয়। এর আগে নাটোরের লালপুরে এক প্রবাসীর স্ত্রী শিউলি খাতুন পরকীয়া প্রেমিক জাকির হোসেনকে মামা পরিচয়ে বাড়িতে এনে পরবর্তীতে হত্যার শিকার হন। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, পরকীয়া সম্পর্কের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

এছাড়াও, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে এক প্রবাসীর স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিক একই দড়িতে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

এই ধরনের ঘটনা সমাজে পারিবারিক বন্ধন ও নৈতিকতার অবক্ষয়ের প্রতিফলন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রবাসীদের পরিবারে সামাজিক ও মানসিক সহায়তা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

ফরিদপুরের এই ঘটনা প্রবাসী পরিবারগুলোর জন্য একটি সতর্কবার্তা। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও যোগাযোগ বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রবাসে কর্মরত ব্যক্তিদের উচিত পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা।