প্রধান উপদেষ্টার চিন সফর অনুদানের চেয়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, প্রযুক্তির হস্তান্তর এবং ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য তৈরিতে গুরুত্ব দিতে হবে- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ

প্রকাশিত: ৩:৫৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৬, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রধান উপদেষ্টার চিন সফর অনুদানের চেয়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, প্রযুক্তির হস্তান্তর এবং ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য তৈরিতে গুরুত্ব দিতে হবে- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ আজ ২৬ মার্চ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার চিন সফর উপলক্ষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন আত্মমর্যাদাশীল দেশ। সন্মান-মর্যাদা ও অধিকারের জন্য লড়াইয়ের এক ঐতিহাসিক দিনে বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকার প্রধান চিন সফরে যাচ্ছেন। বিদ্যমান বাস্তবতায় এই সফরের বিশেষ গুরুত্ব তৈরি হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আমাদের আহবান থাকবে, এই সফরে অনুদানের চেয়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের ওপরে বেশি গুরুত্ব দিন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্যিক দ্বৈরথে যেসব চিনা কোম্পানী চিনের বাইরে তাদের কারখানা সরিয়ে নিচ্ছে; বাংলাদেশ হতে পারে তাদের উত্তম গন্তব্য। কারণ বাংলাদেশের রয়েছে বিপুল সংখ্যক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠি যারা শিক্ষিত এবং অল্প কিছু প্রশিক্ষণ পেলে তারা দক্ষ হয়ে উঠবে। এই বিষয়টি চিন সরকার ও চিনা উদ্যোক্তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, এবারের সফর ভূরাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারত যেভাবে বাংলাদেশ বিরোধী অবস্থান নিয়েছে এবং বিশ্বরাজনীতিতে বাংলাদেশ বিরোধি অপতৎপরতা চালাচ্ছে তা প্রতিরোধে চিনের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। একই সাথে আমাদের সামরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামরিক-বেসামরিক প্রযুক্তি হস্তান্তর আমাদের উভয়ের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। এই বিষয়টিও এবারে সফরে তুলে আনতে হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, চিন আমাদের বহুদিনের উন্নয়ন সহযোগী। দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ঐতিহাসিকভাবে প্রমানিত। এখন চিকিৎসা ও ব্যবসা নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ যাতে আরো বৃদ্ধিকরা যায় সেই উপায় খুজতে হবে এবারের সফরে।

অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ উইঘুর মুসলিমদের প্রসঙ্গে এনে বলেন, আমাদের সাথে চিনের সম্পর্ক নিয়ে আমরা আনন্দিত। কিন্তু চিনের উইঘুর মুসলিমদের সাথে চিন সরকারের আচরন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। চিনের সাথে বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ বিশ্বের নানা প্রান্তের মুসলমানদের যে উষ্ণ সম্পর্ক তার ধারাবাহিকতায় উইঘুর মুসলিমদের সাথে চিন সরকার উষ্ণ ও সন্মানজনক সম্পর্ক গড়ে তুলবে এই প্রত্যাশা আমরা করি। উইঘুর মুসলিমদের বিষয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা চিন সরকারকে অবহিত করার জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহবান থাকবে।