ভোটকেন্দ্র নির্মাণের টাকা আত্মসাৎ: অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ৩:৪৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫ সাগর আহমেদ, ঘাটাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র সংস্কারের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে লক্ষিন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোরশেদা আক্তারের বিরুদ্ধে। স্থানীয় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর পক্ষে ১৯ জন ব্যক্তি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রাফিউল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার বিবরণ : স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় লক্ষিন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অর্থ বিভাগ থেকে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনার জন্য বিদ্যালয়টিতে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে প্রধান শিক্ষক মোরশেদা আক্তার ওই অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় না করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, বিদ্যালয়ে একটি সমাপণীকেন্দ্র ঘর নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে তারা অনুদান ও সহযোগিতার মাধ্যমে ঘরটি নির্মাণ করে দেন। পরবর্তী সময়ে প্রধান শিক্ষক সরকারি বরাদ্দপ্রাপ্ত অর্থ ব্যয় না করে সেই ঘরটিকেই ভোটকেন্দ্র নির্মাণের খাতে দেখান এবং বরাদ্দের পুরো টাকাই আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও, অভিযোগ রয়েছে যে তিনি ভবনের পুরোনো টিন বিক্রি করে ব্যক্তিগতভাবে অর্থ গ্রহণ করেছেন। অভিযোগকারীদের বক্তব্য : বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, “প্রধান শিক্ষক মোরশেদা আক্তার ভোটকেন্দ্র নির্মাণের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত দুই লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এমনকি স্থানীয় জনগণের অনুদানে দেওয়া টিনও সরিয়ে নিয়েছেন।” বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শাহজাহান সিরাজ এবং জেসমিন আক্তার জানান, “ভোটকেন্দ্র সংস্কারের জন্য বরাদ্দ পাওয়া দুই লাখ টাকা কোথায়, কীভাবে ব্যয় হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। বিদ্যালয়ে সরকারি বরাদ্দ আসার পর তা সঠিকভাবে ব্যয় হয় না। জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।” প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া : অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মোরশেদা আক্তার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন ইসলাম বলেন, “উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এলাকাবাসী প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তির আহ্বান জানিয়েছেন। SHARES অপরাধ বিষয়: