তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের উদ্বোধন, মির্জা ফখরুল দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ১:৩৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫ জুবেল আরেফিন রংপুর ব্যুরো চিফ : লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা রেলসেতু এলাকায় আজ (১৭ ফেব্রুয়ারি) ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ভারতের উদ্দেশে মির্জা ফখরুলের বক্তব্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারতের উদ্দেশে তীব্র ভাষায় বলেন, “আমরা ভারতের কাছে পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, যদি তারা বাংলাদেশের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করতে চায়, প্রথমেই তিস্তার পানি দিতে হবে। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে এবং আমাদের সাথে বড় দাদা বা মাস্তানমুখী আচরণ বন্ধ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের পায়ের উপর দাঁড়াতে চাই এবং আমাদের প্রাপ্য হিস্যা বুঝে নিতে চাই। শুধু তিস্তা নয়, ভারতের ৫৪টি নদী আমাদের দেশে প্রবাহিত হয়, কিন্তু তারা বাঁধ দিয়ে পানি তুলে নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, আমাদের দেশের মানুষ সঠিকভাবে কৃষিকাজ করতে পারে না।” আওয়ামী লীগ ও ভারতের সমালোচনা মির্জা ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগ ও ভারতের বিরুদ্ধে এই মানুষগুলো কষ্টে পড়েছে। আমাদের ছেলেরা ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। যারা পালিয়ে গেছে, তারা কোথায়? ভারতে।” তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ভারতের কাছে রাজার মতো বসে এবং সেখানে হুকুম জারি করে। তিনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, “আজকের সংগ্রাম বাঁচা-মরার সংগ্রাম, এই এলাকার মানুষের সংগ্রাম। আমরা কখনোই এই সংগ্রাম বন্ধ হতে দেব না।” বিএনপির দাবি: তিস্তা নদী রক্ষা ও নির্বাচন দাবি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আন্তর্জাতিক সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “তিস্তা নদীর পানি আমাদের পাওনা। অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।” বিপুল সংখ্যক নেতার উপস্থিতি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বেবী নাজনীন, বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক সহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ। তিস্তা নদীর দুই তীরের জনতার অবস্থান তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের বক্তব্যের পর, আন্দোলনকারীরা ৫টি জেলার ১১টি পয়েন্টে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে এবং স্থানীয়রা নানা শ্রেণির মানুষ ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে মুখরিত করেছে। SHARES জাতীয় বিষয়: