অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ: অপসারণের দাবি দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ৭:৩৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫ সিংড়া নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের সিংড়া উপজেলার রহিম ইকবাল কে.জি একাডেমীর অধ্যক্ষ পারভীন আক্তারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ও তার অপসারণের দাবিতে থানা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সব বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই স্কুলের ৭জন শিক্ষক ও ২ কর্মচারী। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অধ্যক্ষের অপসারণ ও বিচারের দাবি করে নানা শ্লোগান দিতে দেখা যায়। রহিম ইকবাল কে.জি একাডেমীর সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জুয়েল বলেন, অধ্যক্ষ পারভীন আক্তার সিংড়া উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে দূরব্যহার, অনৈতিক আচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করতেন, কথায় কথায় শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাতেন এমনকি কোন কোন সময় অভিভাবকদের সাথেও কর্কস ভাষা ও দূরব্যহার করতেন। রহিম ইকবাল কে জি স্কুলের ভুক্তভোগী সিনিয়র শিক্ষিকা শাহানাজ খাতুন বলেন, আমার কাছে অধ্যক্ষ অবৈধ ভাবে ২০হাজার টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে তাকে চাকরিচ্যুত করা হবে বলে ভয়ভীতি দেখায় পরে আমি অধ্যক্ষের হাত ধরে অনুরোধ করার পরেও তাকে ১০হাজার টাকা দিতে হয়েছে। চাকরি প্রত্যাশি শিল্পী খাতুন বলেন, আমাকে কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে চাকরি দিবে বলে আমার কাছে থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে চাকরি দেয়নি অধ্যক্ষ। স্কুলের শিক্ষক প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান বলেন, গত অক্টোবর ২০২২ সালে একাডেমী পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত হয় একাডেমীর মার্কেটের ঘর ভাড়া দেওয়া হবে প্রতি মাসে ৫হাজার টাকা করে অগ্রণী ব্যাংক সিংড়া শাখায় সভাপতি ও অধ্যক্ষের যৌথ নামে ডিপিএস ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে কার্যকর করার জন্য অনুমোদিত হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ পারভীন আক্তার তার একক ক্ষমতা বলে কারো সঙ্গে কোনরুপ আলোচনা না করে সভাপতিকে বাদ দিয়ে তার নিজ নামে ব্যাংক এশিয়াতে টাকা জমা রাখে। আমরা শিক্ষকগণ মনে করি কমিটির অনুমোদনকৃত আদেশ অধ্যক্ষ অমান্য করেছেন। তিনি আরো বলেন একাডেমিক ভবনের মার্কেটের ঘর পাইয়ে দিবে বলে দোকানদার বারিক মোল্লা জীবনের কাছে থেকে জামানত রশিদ ছাড়া অবৈধভাবে স্ট্যাম্পে লিপিবদ্ধ না করে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ স্কুলে যায়। এবিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্র প্রতিনিধি নোমান ফয়সাল জিহাদ ও উদয় মিজান জানান, আমি রহিম ইকবাল কে জি স্কুলের ৭জন শিক্ষক ও ২ কর্মচারীর অভিযোগে প্রেক্ষিতে স্কুলে আসি এসে দেখি অধ্যক্ষ স্কুলে অনুপস্থিতির তাকে মুঠো ফোনে কল দিলে তিনি কল ধরে বলেন আমি তিন দিনের ছুটিতে আছি, আমরা তার বিরুদ্ধে আনিত অনিয়ম- দূর্নীতি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এসব অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ পারভীন আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে জানান , এসব অভিযোগ মিথ্যা। আমি আওয়ামী লীগ করতাম এজন্য আমার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র হচ্ছে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: