সদরপুরে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। 

প্রকাশিত: ২:৫৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫

ফকির আল মামুন,স্টাফ রিপোর্টার ফরিদপুরঃ

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় দিন দিন বেড়েই চলেছে মোটর- সাইকেল দুর্ঘটনা। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রতিটি সড়কের টার্নিং মোর, এবং অপরিকল্পিত স্পিড ব্রেকার যেন ভয়ংকর মৃত্যুফাঁদ।

সদরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে হর-হামেশা বেড়েই চলেছে মোটরবাইক দুর্ঘটনা।বেপরোয়া গতিতে মোটরবাইক চালানোর কারনে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রতিনিয়ত প্রান হারাচ্ছে উঠতি বয়সের অসংখ্য কিশোর, তরুন এবং যুবকরা।

জানা গেছে উচ্চগতি সম্পন্ন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মটরবাইক স্কুল-কলেজ পড়ুয়া কিশোর, তরুন ও যুবকদের কাছে অধীক প্রিয়। আর এই দ্রুতগতি সম্পন্ন মোটরবাইক গতি সীমার বাইরে চালানোর কারনে দিন দিন সদরপুরে বেড়েই চলছে মোটরাবইক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল।

দুর্ঘটনার পরিণাম জানা সত্বেও অনেক সচেতন অভিভাবক শখের বসে ,কেউবা চাপের মুখে বাধ্য হয়ে তাদের (১৪-১৫) বছর বয়সী সন্তান কে কিনে দিচ্ছেন উচ্চগতি সম্পূর্ণ মোটরবাইক।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়নরত শিশু-কিশোররা দল বেঁধে বাইক প্রতিযোগিতায় মেতে উঠে। আর এই অসতর্ক ও উচ্চগতিতে বাইক চালানোর কারণে কিশোর-তরুণ ও যুবকরাই অকালে প্রাণ হারাচ্ছে বেশি।কেউ কেউ আবার পঙ্গত্ত্বর বরন করে নিচ্ছে সারা জীবন জন্য।

বেপরোয়াগতি, সংকীর্ণ সড়ক, অনুমতি বিহীন স্প্রিড ব্রেকার, মোর ক্রসিং, অদক্ষ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক প্রশিক্ষণহীন চালক, , অস্বাভাবিক গতি, সাবধানতার সাথে ওভারটেকিং না করা, ৩/৪ আরোহী নিয়ে গাড়ি চালানো,গাড়ি চালানো অবস্থায় হেডফোন লাগিয়ে গান শোনা, ট্রাফিক আইন না মানা, হেলমেট ব্যবহার না করাই মোটরবাইক দুর্ঘটনায় প্রাথমিক কারণ মনে করেন সচেতন মহল।

মোটরবাইক দুর্ঘটনায় নিহত চালক ও আরোহীদের অর্ধেকের বয়সই ১৪ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।

এ ব্যাপারে সদরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো:মোতালেব হোসেন জানান, কিশোর তরুনরাই বেপরোয়া গতিতে মোটরবাইক বেশী চালাচ্ছে। কিশোর,তরুন যুবক এরাই মোটরবাইক দুর্ঘটনায়ব বেশি মারা যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন প্রথমত অভিভাবকদের সতর্ক হতে হবে।

বাচ্চাদেরকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে অভ ভাবকদের আরবেশি ভূমিকা পালন করতে হবে । প্রাপ্তবয়স্ক না হলে মটরবাইক কিনে না দেওয়ায়ই ভালো।

নিরাপদ সড়ক -জনপথ নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের গবেষণায় জানা গেছে:

মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়ক ও গ্রামীণ সড়কে মোটরবাইক চালানোর ক্ষেত্রে অধিকাংশ চালকই নিয়ম মানেন না। মোটরবাইকে দু’ইয়ে অধিক যাত্রী ওঠা । উপজেলা পর্যায়ে অনিবন্ধিত ও অপ্রাপ্তবয়স্করাই মোটরবাইক অহরহ চালান। অনেকেরই মোটরসাইকেল চালানোর কোনো প্রশিক্ষণ থাকে না।তাই হর-হামেশা যত্রতত্রই ঘটেছে মোটরবাইক দুর্ঘটনা।

সাম্প্রতিক সময়ে সদরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক মাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় সদরপুরের সচেতন মহল উদ্বিগ্ন।