বোটানিক্যাল গার্ডেন শুধুই বিনোদনের স্থান নয়, প্রকৃতি সংরক্ষণের কেন্দ্র: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

প্রকাশিত: ৩:৩২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫

জাহিদ হাসান :

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বোটানিক্যাল গার্ডেন শুধু বিনোদনের স্থান নয়, বরং এটি প্রকৃতি সংরক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। তিনি জানিয়েছেন, সরকার এ ধরনের উদ্যানগুলোকে প্রকৃতি সংরক্ষণস্থল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছে এবং এ বিষয়ে কার্যকর প্রস্তাবগুলি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।

ইভেন্ট:

আজ (৭ ফেব্রুয়ারি) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক বোটানিক্যাল কনফারেন্স ২০২৪-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।

 

সারাংশ:

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান তার বক্তৃতায় বলেন, সরকার দেশের পাহাড়ি ও উপকূলীয় বনসহ বিপন্ন বনাঞ্চল রক্ষায় কার্যক্রম চালাচ্ছে। তিনি জানান, বন সংরক্ষণে ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এসব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে হবে।

 

তিনি আরও বলেন, “অবৈধ দখলমুক্ত করে পুনরায় বনায়ন করতে হবে। কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে বন উজাড় হলে, সঙ্গে সঙ্গেই বৃক্ষরোপণ নিশ্চিত করতে হবে।”

 

শালবন পুনরুদ্ধারের জন্য একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

 

প্রধান বক্তব্য:

“দেশীয় গাছ রোপণ করলেই হবে না, এগুলো টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থাও জরুরি,” বলেন রিজওয়ানা। তিনি আরও জানান, সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে প্রাকৃতিক বন পুরোপুরি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়, তাই কোনো বনায়ন প্রকল্পের কারণে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করা যাবে না।

 

নগরায়ণ প্রসঙ্গে:

ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য নগর এলাকায় সবুজায়ন এবং আরবান ফরেস্ট্রি প্রসারে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেন রিজওয়ানা হাসান।

 

সংবিধানিক অঙ্গীকার:

সংবিধানে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে রিজওয়ানা বলেন, এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা:

তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃতিবান্ধব পরিবেশের প্রশংসা করে বলেন, এই পরিবেশই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশবাদীদের উত্থানের অন্যতম কারণ। তিনি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এ ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

 

উল্লেখযোগ্য বক্তারা:

এ কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন বোটানিক্যাল সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এম. আজিজুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. মাহফুজুর রহমান, এবং প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সোহেল আহমেদ।