ঘাটাইলে মাদরাসা উচ্ছেদে বনকর্মী অবরুদ্ধ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ১২:৪৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২৫ নাজমুল আদনান, ক্রাইম রিপোর্টার, টাঙ্গাইল টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে একটি মাদরাসা ভবন উচ্ছেদ করতে গিয়ে বন বিভাগের কয়েকজন কর্মী স্থানীয়দের দ্বারা অবরুদ্ধ হন। পরে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে ধলাপাড়া ইউনিয়নের দিঘলীয়া চালা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার বিবরণ স্থানীয়দের তথ্যমতে, দিঘলীয়া চালা মদিনাতুল উলূম রাহমানীয়া মাদরাসার নির্মাণাধীন একটি ভবনে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গেলে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা বাঁধা দেয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী খাইরুল ইসলাম বলেন, “আমি প্রতিবাদ করলে একজন বন কর্মী আমাকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়।” আরেক শিক্ষার্থী গোলাম রাব্বানী জানান, “আমার হাতে আঘাত করে, যার ফলে আঙুল থেতলে যায়।” বিক্ষোভ ও অবরুদ্ধ কর্মী বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চিৎকারে আশপাশের মানুষ জড়ো হয়ে যায়। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা কয়েকজন বন কর্মীকে মাদরাসার ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, “মাদরাসা ঘর উচ্ছেদের সময় বন বিভাগের কয়েকজন কর্মীকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করি।” উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিন আক্তার জানান, “ঘটনার খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে অবরুদ্ধ বন কর্মীদের মুক্ত করা হয়।” বন বিভাগের দাবি ধলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা ওয়াদুদুর রহমান বলেন, “উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে আমাদের কর্মীদের আটক করা হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” মাদরাসা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য মাদরাসার প্রধান মুহতামিম মাওলানা আরিফুজ্জামান বলেন, “আমরা বন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই ভবন নির্মাণ শুরু করি। কিন্তু তারা হঠাৎ অভিযান চালালে শিক্ষার্থীরা বাঁধা দেয়। পরে শিক্ষার্থীদের ওপর তারা চড়াও হয়।” উপসংহার ঘাটাইলে মাদরাসা ভবন উচ্ছেদ নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে। SHARES অপরাধ বিষয়: