
রংপুর ব্যুরো:
রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার দোহাজারী গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে চাচা ওসমান গণি (৫৫) নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকালে বাঁশ কাটা নিয়ে দোহাজারী গ্রামের ওসমান গণি এবং তার ভাতিজা সামছুল হক, রমজান আলী ও মিজানুর রহমানের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়।
ঘটনার বিবরণ
রাত ৮টার দিকে বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করলে ভাতিজা মিজানুর রহমান ওসমান গণির গোপনাঙ্গে আঘাত করেন। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
মামলা ও অভিযুক্তদের অবস্থা
শনিবার নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম পাঁচজনকে আসামি করে তারাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন:
- একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
- বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
- মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের পরিবারের বক্তব্য
মনোয়ারা বেগম বলেন, “সামান্য বাঁশের জন্য আমার স্বামীকে হত্যা করা হলো। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।”
স্থানীয় পরিস্থিতি
ঘটনার পর থেকে দোহাজারী গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।