জাহিদ :

মিয়ানমারে উৎপত্তি হওয়া একটি ভূমিকম্পের কম্পন বাংলাদেশ, ভারতের কয়েকটি রাজ্য এবং মিয়ানমারের বিভিন্ন স্থানে অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্পটি বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত ১টা ২৬ মিনিটে হয়। কম্পনটি তীব্র ছিল, তবে এটি খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি।

ভূমিকম্পের উৎস ও মাত্রা : 

ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি বিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের কামটি এলাকায়। এটি মাটির ১১২ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয় এবং রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভারতের মণিপুর রাজ্যের ওয়াংজিং থেকে ১০৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূমিকম্পটি সংঘটিত হয়।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি : 

বাংলাদেশে ভূমিকম্পটি প্রায় ২ থেকে ৩ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। এরপর কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে আবার ২ থেকে ৩ সেকেন্ডের কম্পন অনুভূত হয়, তবে দ্বিতীয় দফায় কম্পনের তীব্রতা ছিল কম।

প্রভাবিত অঞ্চল : 

ভলকানো ডিসকভারি জানায়, মিয়ানমার, বাংলাদেশ এবং ভারতের কিছু অঞ্চলে ভূমিকম্পটি শক্তিশালীভাবে অনুভূত হয়েছে। উৎপত্তিস্থল থেকে ৩৫০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরের মানুষও কম্পন টের পেয়েছেন। এমনকি একজন ২,৩৭১ মাইল দূরে থেকেও ভূমিকম্পটি অনুভব করেছেন বলে জানিয়েছেন।

উৎপত্তিস্থলের কাছাকাছি এলাকায় কম্পন তেমন তীব্র না হলেও দূরের অঞ্চলে এটি বেশি অনুভূত হয়েছে।

বাংলাদেশসহ প্রভাবিত দেশগুলোর মানুষ ভূমিকম্প নিয়ে শঙ্কিত হলেও এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।