নগরকান্দায় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ: আহত ৫০, এলাকায় এখন থমথমে পরিস্থিতি

প্রকাশিত: ১১:৫৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫

শরিফুল ইসলাম : 

 

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই দিনে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাত ও শনিবার সকালজুড়ে ফুলসুতি ইউনিয়নের সলিথা গ্রামবাসী এবং নগরকান্দা পৌরসভার মিরাকান্দা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে অংশ নেয় উভয় পক্ষ। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিরা নগরকান্দা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে সলিথা মাদ্রাসায় আয়োজিত একটি ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিনের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মিরাকান্দা ও সলিথা গ্রামের বাসিন্দারা মাহফিলের সময় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

কিন্তু উত্তেজনা থামেনি। শনিবার সকালে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে উভয় পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বল্লম, রাম দা ও ইট-পাটকেল নিয়ে কয়েক ঘণ্টার এই সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

 

সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে নগরকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফর আলীসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

 

নগরকান্দা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন,

“পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। তবে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।”

 

সংঘর্ষে আহত অন্তত ৫০ জনের মধ্যে গুরুতর কয়েকজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়িঘরে ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

 

সংঘর্ষের পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসন শান্তি বজায় রাখতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং দোষীদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে।