শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা: ২০০ বছরের পুরোনো এক অনন্য আয়োজন দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ১২:১৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫ শেরপুর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলার শেরপুরে প্রতি বছর পৌষ মাসের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা, যা প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো। কুশিয়ারা নদীর তীরে অনুষ্ঠিত এই মেলা বাংলাদেশের বৃহত্তম মাছের মেলা হিসেবে পরিচিত এবং সিলেট বিভাগের একমাত্র ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা। মেলা দেখতে ও মাছ কিনতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষাধিক মানুষ এখানে সমবেত হয়। পানির মাছ : মেলায় এ বছরও প্রায় ২৫০-৩০০টির মতো দোকান বসেছে, যেখানে দেশের হাওর ও নদী অঞ্চলের দেশীয় মিঠা পানির মাছ বিক্রি হচ্ছে। এসব মাছের মধ্যে রয়েছে বিশাল আকারের মাছ, যা দেখতে ও কিনতে আগত দর্শনার্থীরা ভিড় করছে। মেলায় সাধারণত হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকার মাছ বিক্রি হয়, যা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বড় বাণিজ্যিক উৎস। মেলায় বিক্রি হয় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার মাছ, যা শেরপুরের মাছ ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বিশাল আয়। ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন: মেলাকে কেন্দ্র করে শেরপুরের স্থানীয়রা প্রতিবছর উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। মেলার নির্দিষ্ট সময়ের এক বা দুই দিন আগে থেকেই এখানে বসে যায় নানা ধরনের দোকান। এখানকার দোকানগুলোতে মুড়ি-মুড়কি, মণ্ডা-মিঠাইসহ নানা মুখরোচক খাবার পাওয়া যায়। এছাড়া খেলনা, গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, ইমিটেশন এবং অন্যান্য পণ্যের দোকানও মেলায় উঠে। প্রতিবছর মেলায় আগত ভোজন বিলাসী মানুষের : এই মাছের মেলা শুধুমাত্র মাছের বাণিজ্য নয়, এটি এক ধরনের সাংস্কৃতিক মিলনমেলা হিসেবেও পরিচিত। স্থানীয়রা মেলাকে একটি ঐতিহ্য হিসেবে ধরে রেখেছে এবং এটি সিলেট বিভাগের অন্যতম জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় মেলা হিসেবে বিবেচিত। প্রতিবছর মেলায় আগত ভোজন বিলাসী মানুষের সমাগম ঘটে, যারা এখানকার বিশাল আকারের মাছ দেখতে এবং কিনতে আসেন। বহু বছর ধরে চলমান: শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা শুধু একটি বাণিজ্যিক আয়োজন নয়, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে বহু বছর ধরে চলমান। মেলার মাধ্যমে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের মাছের ব্যবসা প্রসারিত করেন এবং এটি সিলেট বিভাগের মাছের বাণিজ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। SHARES অর্থ-বানিজ্য বিষয়: https://www.facebook.com/dailychoukasdigital?mibextid=ZbWKwL