ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ

প্রকাশিত: ২:০৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার  :  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেছেন।

 

এই সাক্ষাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয় নিয়ে নিয়মিত অবহিতকরণের অংশ হিসেবে ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ও তাঁর প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যত উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেন।

 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নসহ সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ মর্যাদা প্রদানের বিষয়ে আশ্বাস দেন এবং আবাসিক হল নির্মাণ, ‘বিশেষ এন্ডাওমেন্ট ফান্ড’ গঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে সম্ভাব্য সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন।

 

সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ।

এ সময় আলোচনা হয় দেশের শিক্ষা ও গবেষণার প্রসার, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, মহান ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, ২৪-এর ছাত্র আন্দোলনসহ বাংলাদেশের নবজাগরণের ইতিহাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্য অবদান নিয়ে।

 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কয়েকটি ছাত্রী ও ছাত্র হল নির্মাণের প্রস্তাব দেন। তিনি আরও বলেন, প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তির আওতায় আনার জন্য ‘বিশেষ এন্ডাওমেন্ট ফান্ড’ গঠন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

 

এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি, শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সাম্প্রতিক সময়ে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কেও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।

 

এটি ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সরকারের সহযোগিতার দিকে একটি নতুন দৃষ্টি নিয়ে আসে।