
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
সরকারি কৃষি প্রণোদনার সার ও সরিষা বীজ চুরি করে প্রশাসনের হাতে ধরা পরার পরও মেম্বারী বহাল, প্রশাসন কেন নীরব, জনমনে নানা প্রশ্ন। বারবার তদন্ত প্রতিবেদন চাইলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে গণমাধ্যম কর্মীকে কালক্ষেপণ করছেন প্রশাসন। তবে, মর্জিনা মেম্বার অপরাধী তা স্বীকার করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদার। অথচ সার ও বীজ চুরির কোন ব্যবস্থা নেননি তারা। উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর ২০২৪ সালে মানিকগঞ্জে শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মর্জিনা বেগম তার এলাকার কৃষকদের মাঝে সিলিভ না দিয়ে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সমস্ত সার ও বীজ নিয়ে আসেন তার বাড়ি। নিজ এলাকার শাকরাইল নতুন বাজারে আত্মীয় সালামের সারের দোকানে ২৬ বস্তা সার দেন এবং নিজের বাড়িতে সুরক্ষিত স্থানে সরিষা বীজ রাখেন। উপজেলা প্রশাসন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে সার ও বীজ উদ্ধার করে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করেন। ঐসময় মর্জিনা মেম্বারকে সাময়িক বরখাস্ত করলেও আজ পর্যন্ত তদন্ত শেষ হয়নি। তবে এখনো মেম্বারী বহাল রয়েছে এবং পরিষদের সমস্ত কাজের সম্পৃক্ততা দেখা যায়। তার কিছুদিন আগে হতদরিদ্রের ঈদ উপহার চাউল চুরি জনগণের কাছে ধরা পড়ে অত্র শিমুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মানিক। এ চাউল চুরির ঘটনায় জড়িত ছিলো আওয়ামী দোসর মর্জিনা বেগম। ইউনিয়ন পরিষদে সমস্ত কিছু ভাগাভাগি করে খেতো এরা। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের লোক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি প্রশাসন। তদন্ত- কৃষি অফিস থেকে ইউএনও অফিস, দেখায় আবার ডিসি অফিস। এই তদন্তের শেষ কোথায় জানতে চায় সচেতন মহল।