দুতিয়া দিঘির পাড় মাদ্রাসায় পড়ুয়া ১১ বছর বয়সী নাজেরআনা বিভাগের ছাত্রের চাঞ্চল্যকর মৃত্যু

নিজেস্ব প্রতিবেদক
কে নিবে এই ছেলের মৃত্যুর দায় ?
কি হয়েছিলো তার সাথে ?
হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু?
১১ বছর বয়সে তার মৃত্যুতে শোকাহত পুরো আমড়াতলী ইউনিয়ন
ঘটনা টি ঘটেছে কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি মডেল থানার আমড়াতলী দুতিয়া দিঘির পাড় গাউছিয়া সুন্নিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায়
,আদর্শ সদর,কুমিল্লা।
যানা যায় শিক্ষকের সাক্ষাতে গড় মিল পাওয়া গেছে,,,,,এটা কি হত্যা ?? না অপ মৃত্যু,,, প্রশ্ন থেকে গেলো,,, প্রশাসন বলছে পোসমাটম (মেডিকেল) রিপোর্ট ও সি আই ডি ফরেনসিং রিপোর্ট আসার পর সঠিক জানা যাবে,,,মৃত সামিউল এর বাবা মায়ের কথা হলো মাদ্রাসার হুজুর রা এ ঘটনায় জড়িত, থাকতে পারে,সঠিক তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনা হোক,কি অপরাধ ছিল ১১ বছর বয়সী নাজের আনা বিভাগের ছাত্র সামিউলের, ঘটনা টি ঘটেছে কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি মডেল (আদর্শ সদর) থানাধীন ৪নংআমড়াতলী ইউনিয়ন দুতিয়া দিঘির পাড় ৮নং ওয়ার্ডের, দুতিয়া দিঘির পাড় গাউছিয়া সুন্নিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানা , সামিউল এর বাবা আমিনুল ইসলাম বলেন আমার ছেলে এই মাদ্রাসায় তিন বছর ধরে কোরআন শিক্ষা নিচ্ছেন সামিউল বাবা প্রবাসে থাকার কারণে মাদ্রাসার আবাসিকে থেকে পড়াশোনা করতেন সামিউল মাঝে মাঝে সামিউলের দাদি মাদ্রাসা গিয়ে দেখা করে খোঁজ খবর নিতেন এবং খরচের টাকা পয়সা দিয়ে আসতেন, কিছু দিন আগে বাবা প্রবাস থেকে ছুটি তে দেশে আসেন তার কারণে বাবা নিজেই মাদ্রাসা গিয়ে দেখা করে খোঁজ নিয়ে আসেন ইতি মধ্যে গত ২৫/১০/২০২৫ (শনিবার) তারিখে মাদ্রাসায় একটি মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এতে সামিউল এর বাবা মাহফিলে ছেলের সাথে থাকেন বাবা ছেলের শেষ দেখা মাহফিলে,গত বুধবার ২৯ অক্টোবর সামিউলের বাবা নিয়মিত খোঁজখবর এবং দাওয়াত ছিল সামিউল কে নিয়ে দাওয়াতে যাবে তাই মাদ্রাসায় যায়, মাদ্রাসায় গিয়ে শুনে সামিউল মাদ্রাসায় নাই, কারণ জানতে চাইলে মাদ্রাসার শিক্ষক ফয়সাল হুজুর বলেন সামিউল গতকাল বাড়িতে গেছে, এরিমধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়, একপর্যায়ে সামিউলের বাবা সিসি ক্যামেরা দেখাতে বলে তখন ২৭ তারিখ বিকেল ৪টার ভিডিও মাঠের খেলা ধুলার ভিডিও সামান্য একটু দেখায় ,কিন্তু তারা ২৭ তারিখ রাতের এবং ২৮/২৯ তারিখের ভিডিও দেখাতে বের্থ হয়, তাহলে ফয়সাল হুজুর কিভাবে বলেন আমার ছেলে সামিউল গতকাল বাড়িতে গেছে এটা সামিউলের বাবার প্রশ্ন,পরে মাদ্রাসা পুলিশ এশে তালা মেরে রাখে ফয়সাল হুজুর কে সহ, মাদ্রাসায় মিডিয়া কর্মীদের কাউকে ঢুকতে দেয়া হয় নাই দিনের ১২ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পুলিশ ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ,এতে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় তখন এলকাবাসী রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ সুরু করলে পুলিশ বাধা দিয়ে বলেন সামিউলের মৃত্যুর সঠিক বিচার পাবেন, কিন্তু পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য সামিউলের লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা কুচাইতলী মেডিকেলে প্রেরণ করেন , তার বাবা মা ও আত্মীয় স্বজন দাবি করেছেন তাদের সামিউল কে মাদ্রাসায় অথবা মাদ্রাসার ড্রেনের ওখানে গলা চিপে বা গামছা দিয়ে গলা চেপে গরম পানি বা কোন রাসায়নিক পদার্থ ঢেলে দিয়েছে,এমন যদি না হতো তাহলে আমার ছেলের মুখ দিয়ে জিববা বের হয়ে আছে কেন? পুরো শরীর অস্বাভাবিক ভাবে পুলা কেন? পুরো শরীরের চামড়ায় ঠোশা এবং কিছু কিছু জায়গায় চামড়া উঠানো আবার লাল লাল দাগ, দুই হাতের চামড়া উঠানো এবং দুই হাত উপরের দিকে তুলে আছে দুই পা দুই দিকে ছড়িয়ে নিচের দিকে বাঁকা,আমার ছেলে কে মেরে ফেলা হয়েছে, আমি দেশ বাসী ও সকল প্রশাসন এবং মিডিয়ার মাধ্যমে আমার ছেলের বিচার চাই , সামিউলের বাবা মা আরো বলেন কোন একটি মহল মেডিকেল রিপোর্ট বানচাল করতে পারে ,এলাকাবাসী ও আত্মীয় স্বজনদের চাওয়া সঠিক তদন্ত করে দ্রুত দোষীদের কে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা , আমার সামিউলের মতো যেন আর কোন সামিউল না হারায়
|
|