কামারগাঁ ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের ওপর হামলার অভিযোগ — খাদ্য কর্মকর্তার সঙ্গে বিরোধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা

News News

Admin

প্রকাশিত: ১:৫৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩, ২০২৫
রাজশাহী ক্রাইম রিপোর্টার
রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি স্থানীয় খাদ্য কর্মকর্তা ও উপ-খাদ্য পরিদর্শকের (এলএসডিও) সঙ্গে চলমান বিরোধের জের ধরে ঘটেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার সারসংক্ষেপ, স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কামারগাঁ ইউনিয়নের খাদ্য কর্মকর্তা ও এলএসডিও’র সঙ্গে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক ও কার্যক্রমসংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। অভিযোগ রয়েছে, ইউনিয়নের খাদ্যগুদাম পরিচালনা, ধান সংগ্রহ ও বিতরণ কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব বাড়ে। এরই মধ্যে চেয়ারম্যানের পক্ষের কয়েকজন সমর্থক বা স্থানীয় ব্যক্তি খাদ্য কর্মকর্তা ও এলএসডিও’র সঙ্গে দেখা করতে গেলে সংঘর্ষ বা হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এ ঘটনায় কারা সরাসরি জড়িত এবং কখন ঘটনাটি ঘটেছে—সেই তথ্য এখনও স্পষ্ট নয়। অভিযোগ ও প্রাথমিক তথ্য, অভিযোগে বলা হয়েছে, উক্ত খাদ্য কর্মকর্তা ও এলএসডিও’র বিরুদ্ধে খাদ্যগুদামের ধান ও খালি বস্তা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।
এ নিয়ে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা ও উত্তেজনা চলছিল। হামলার ঘটনায় আহত বা ক্ষতিগ্রস্ত কারো নাম এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। প্রশাসনিক প্রতিক্রিয়া, তানোর উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় থানার সূত্রে জানা গেছে, হামলার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রশাসন ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।
দুদক-সংশ্লিষ্ট মামলার কারণে বিষয়টি আরও সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা জানান, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। প্রভাব ও পরিস্থিতির মূল্যায়ন, যদি হামলার অভিযোগ সত্য হয়, তবে এটি শুধু একটি ব্যক্তিগত বিরোধ নয়—সরকারি খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক আস্থার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। স্থানীয়ভাবে খাদ্য নিরাপত্তা কার্যক্রমে অনিয়ম, জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হতে পারে। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশকে দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। খাদ্যগুদাম ও ধান বণ্টন কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে তদারকি কমিটি সক্রিয় করা উচিত। জনগণ যাতে নির্ভয়ে অভিযোগ জানাতে পারে, সে জন্য হটলাইন বা তথ্য-গ্রহণ কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।সংবাদমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকেও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ জরুরি, যেন পুনরায় এমন ঘটনা না ঘটে। বর্তমানে হামলার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া না গেলেও কামারগাঁ ইউনিয়নের খাদ্যগুদাম সংক্রান্ত মামলা, দুর্নীতির অভিযোগ ও প্রশাসনিক দ্বন্দ্বের কারণে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত তদন্ত ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।