
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়ন জেলা শহরের একটি নিকটবর্তী ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে চল্লিশ হাজারেরও অধিক মানুষ বসবাস করে। খুরুশকুল ইউনিয়নের উপর দিয়ে অত্র ইউনিয়নের মানুষ মাত্র ৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জেলা শহরে যাতায়াত করার সুযোগ থাকলেও নির্মাণাধীন ভারুয়াখালী-খুরুশকূল সংযোগ সেতুর কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় সেই আদিকাল থেকে ভিন্ন উপজেলা রামুর উপর দিয়ে ৩৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ভারুয়াখালীর মানুষকে কক্সবাজার জেলা শহরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সেতুটি নির্মিত হলে সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়ন, পিএমখালী ইউনিয়ন, চৌফলদন্ডী ইউনিয়ন ও রামু উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নের আরও দেড় লক্ষাধিক মানুষ সরাসরি সুফল ভোগ করবে। সেতুর কাজ সম্পন্ন না হাওয়ায় এতো বিপুলসংখ্যক মানুষ খেয়াঘাট পার হয়ে চরম দুর্ভোগে তাদের জীবন অতিবাহিত করছে। বর্ষাকালে চলাচলের পথে প্রচুর কাঁদা মাটি থাকায় খেয়া নৌকা দিয়ে পারাপার অনেক কঠিন ও ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে! বর্তমান আধুনিক সময়েও সেখানকার মানুষ যাতায়াতে অধিক অর্থ ও সময় ব্যয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তুলনামূলক বেশি দাম দিয়ে ক্রয়, ইউনিয়নে উৎপাদিত লবণ, চিংড়ি, শাকসবজির ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত, যাতায়াতের অসুবিধায় প্রশাসন দ্রুত পৌঁছাতে না পারায় পথে প্রতিরাতে ডাকাতি ও মুমূর্ষুরোগীকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে প্রেরণ করতে না-পারা, অপরাধীদের আশ্রয়স্থলসহ নিত্য ঘটনা সেখানে লেগেই আছে। ভারুয়াখালী ও খুরুশকুল ইউনিয়নে দশ হাজার একর জমিতে লবণ, চিংড়ি ও ধান চাষ হলেও চাষীরা যাতায়াতের ভোগান্তিতে ন্যায্য মূল্যের অভাবে চাষীরা আগ্রহ হারাতে বসেছে! অথচ এ ব্রীজটি নির্মিত হলে সেখানকার দৃশ্যপটই পালটে যাবে। মানুষ ২০০৬ সাল থেকে উক্ত সেতু নির্মাণের জন্য বিভিন্ন দাবিদাওয়া ও আন্দোলন করে আসছিল। অবশেষে ২০১৮ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধিনে তমা কনস্ট্রাকশন এন্ড কোম্পানি লিমিটেড এম/এস, এম জাহেদ (জেবি) ৩৯২ মিটারের সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করলে মানুষ যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছিল। কাজ শুরুর দীর্ঘ আট বছর সময় পার হয়েছে, কিন্তু এখনও ৬০ শতাংশ কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট জনসাধারণ চরম হতাশায় ভূগছেন। মাওলানা জাফর, ভারুয়াখালী ঘোনার পাড়া বাড়ি, তিনি প্রতিদিন নির্মাণাধীন ভারুয়াখালী-খুরুশকূল সংযোগ সেতু সংলগ্ন খেয়াঘাট পার হয়ে খুরুশকুল উম্মে সালমা বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতে যান, তিনি বলেন সেতুটি নির্মাণ হতে দেখে তিন বছর আগে আমি খুরুশকুলে চাকুরী নিয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা করতে যেখানে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় লাগবে সেখানে সেতু না হওয়ায় দেড় ঘন্টারও অধিক সময় লাগে।
খুরুশকুল ইউনিয়নের বাসিন্দা সজল কান্তি দে, প্রতিদিন খুরুশকুল থেকে ভারুয়াখালী শফিউল আযম এডুকেশনাল ইনইস্টিটিউট এ আসা-যাওয়া করে শিক্ষকতা করেন তিনিও মাওলানা জাফর আলমের মতো অভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। লবণ চাষি দিদারুল আলম, ১০ বছর ধরে উক্ত নির্মাণাধীন সেতু সংলগ্ন লবণ মাঠে কাজ করে আসছেন, তিনি বলেন ২০১৮ সালে এই সেতুর প্রথম নির্মাণ কাজ শুরু হতে দেখেছি, তিনি আরও বলেন, কখনো ১০-১৫ জনের বেশি লোক উক্ত সেতু নির্মাণে কাজ করতে দেখেনি। মাঝ মাঝে কাজ বন্ধও থাকে, তার দৃষ্টিতে এভাবে কাজ চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যেও সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে কিনা সন্দেহ আছে। স্থানীয় মেম্বার ফজলুল হক ও সাহাব উদ্দিন বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান পদ শূন্য থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ হয়ে সেতুর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদারসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষেকে তারা অনুরুধ করেছেন তবু কাজের অগ্রগতি না-হওয়ায় তার অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।
কাজে অল্প লোক নিয়োগ, সেতুর নকশায় থাকা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্রোতের মধ্যে দুইটি পিলারের পাইলিংয় সম্পন্ন হলেও গার্ডার ঢালাইয়ে কোনো অগ্রগতি না-হওয়া বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান “এম এ জাহের এন্ড তমা” (জেবি) কর্তৃক উক্ত কাজে নিয়োজি ততত্ত্বাবধায়ক জনাব আনিসের থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, নদীর মাঝখানে বাকী দুইটা পিলারের কাজ পুরোদমে শুরু করার জন্য অধিক সংখ্যক লোক কাজে নিয়োগ করার প্রচেষ্টা চলছে। নির্মাণাধীন সেতুর স্থানে রড়, সিমেন্ট ও অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী আনতে কষ্টের কথা ও নিত্য চুরি স্থানীয় মানুষের অসহযোগিতার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ভারুয়াখালী – খুরুশকুল সংযোগ সেতু দাবী কমিটির একদল প্রতিনিধিসহ “দৈনিক চৌকসে”র জেলা স্টাফ রিপোর্টার এ বিষয়ে সাক্ষাৎ করলে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মামুন খাঁন এখনো কাজটি সম্পন্ন করতে না পারায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। জেলা প্রকৌশলী আরও জানান আমি ঠিকাদারকে তাগাদা দিয়েছি আশা করছি, আগামী সাত-আট মাসের মধ্যে মূল কাজ শেষ হবে।
স্থানীয় জনসাধারণের আর এত দেরি সহ্য হচ্ছে না। দ্রুত সময়ে উক্ত ব্রীজের কাজ সম্পন্ন করার জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালো দাবি জানিয়েছেন।
খুরুশকুল ইউনিয়নের বাসিন্দা সজল কান্তি দে, প্রতিদিন খুরুশকুল থেকে ভারুয়াখালী শফিউল আযম এডুকেশনাল ইনইস্টিটিউট এ আসা-যাওয়া করে শিক্ষকতা করেন তিনিও মাওলানা জাফর আলমের মতো অভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। লবণ চাষি দিদারুল আলম, ১০ বছর ধরে উক্ত নির্মাণাধীন সেতু সংলগ্ন লবণ মাঠে কাজ করে আসছেন, তিনি বলেন ২০১৮ সালে এই সেতুর প্রথম নির্মাণ কাজ শুরু হতে দেখেছি, তিনি আরও বলেন, কখনো ১০-১৫ জনের বেশি লোক উক্ত সেতু নির্মাণে কাজ করতে দেখেনি। মাঝ মাঝে কাজ বন্ধও থাকে, তার দৃষ্টিতে এভাবে কাজ চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যেও সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে কিনা সন্দেহ আছে। স্থানীয় মেম্বার ফজলুল হক ও সাহাব উদ্দিন বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান পদ শূন্য থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ হয়ে সেতুর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদারসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষেকে তারা অনুরুধ করেছেন তবু কাজের অগ্রগতি না-হওয়ায় তার অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।
কাজে অল্প লোক নিয়োগ, সেতুর নকশায় থাকা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্রোতের মধ্যে দুইটি পিলারের পাইলিংয় সম্পন্ন হলেও গার্ডার ঢালাইয়ে কোনো অগ্রগতি না-হওয়া বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান “এম এ জাহের এন্ড তমা” (জেবি) কর্তৃক উক্ত কাজে নিয়োজি ততত্ত্বাবধায়ক জনাব আনিসের থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, নদীর মাঝখানে বাকী দুইটা পিলারের কাজ পুরোদমে শুরু করার জন্য অধিক সংখ্যক লোক কাজে নিয়োগ করার প্রচেষ্টা চলছে। নির্মাণাধীন সেতুর স্থানে রড়, সিমেন্ট ও অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী আনতে কষ্টের কথা ও নিত্য চুরি স্থানীয় মানুষের অসহযোগিতার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ভারুয়াখালী – খুরুশকুল সংযোগ সেতু দাবী কমিটির একদল প্রতিনিধিসহ “দৈনিক চৌকসে”র জেলা স্টাফ রিপোর্টার এ বিষয়ে সাক্ষাৎ করলে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মামুন খাঁন এখনো কাজটি সম্পন্ন করতে না পারায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। জেলা প্রকৌশলী আরও জানান আমি ঠিকাদারকে তাগাদা দিয়েছি আশা করছি, আগামী সাত-আট মাসের মধ্যে মূল কাজ শেষ হবে।
স্থানীয় জনসাধারণের আর এত দেরি সহ্য হচ্ছে না। দ্রুত সময়ে উক্ত ব্রীজের কাজ সম্পন্ন করার জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালো দাবি জানিয়েছেন।
|
|