নগরীর নতুন আতঙ্ক: থ্রি-হুইলার

News News

Admin

প্রকাশিত: ২:৪৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০২৫
খুলনা অফিস
বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর খুলনা—যেখানে বিভিন্ন ধর্ম, জাতি ও পেশার হাজারো মানুষের বসবাস। শিল্পনগরী হিসেবে পরিচিত এই খুলনা শহর এখন নতুন এক সংকটে পড়েছে—থ্রি-হুইলার বা ইজিবাইক-অটোরিকশার দৌরাত্ম্যে। শহরের প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি—সব জায়গাতেই থ্রি-হুইলার চলাচল এখন নিয়ন্ত্রণহীন। যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, অনিয়ন্ত্রিত ভাড়া আদায়, এবং ট্রাফিক আইন অমান্যের কারণে নানামুখী বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে নগরজীবনে। অনুমোদনবিহীন ইজিবাইক, অটোরিকশা ও সিএনজি প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে, যার ফলে শহরের চলাচল ব্যবস্থা ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। অপেশাদার ও অদক্ষ চালকদের কারণে ঘটছে নানান দুর্ঘটনা। ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অজ্ঞ অনেক চালকের বেপরোয়া আচরণে রাস্তায় শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ, পাশাপাশি নগরীর যানজটের সমস্যাও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইজিবাইক বা অটোরিকশা চালানোর ক্ষেত্রে চালকদের কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্সের বাধ্যবাধকতা না থাকায় যে কেউ সহজেই এ পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। ফলে রাজমিস্ত্রি, সুইপার, রংমিস্ত্রি—বিভিন্ন পেশার মানুষ অনভিজ্ঞ অবস্থায় সড়কে নেমে পড়ছেন, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাঁদের মতে, খুলনায় কর্মসংস্থানের ঘাটতির কারণেই অনেকেই জীবিকার তাগিদে থ্রি-হুইলার চালানোর পথে নামছেন। তবে এভাবে লাইসেন্সবিহীন যানবাহন চলতে থাকলে নগরীর সড়কব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের আওতায় লাইসেন্সবিহীন ইজিবাইক ও অটোরিকশার অনিয়ন্ত্রিত চলাচল এখন নগরীতে স্থায়ী যানজটের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি সিএনজি চালকদের মধ্যে ওভারটেকিং প্রতিযোগিতা ও যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতা থেকে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সাধারণ নাগরিকদের অভিমত, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে নগরীর সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।