কালভার্ট বরাদ্দ হলেও বাঁশ- কাঠের সেতু দৃশ্যমান

News News

Admin

প্রকাশিত: ২:৪৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০২৫
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
কালভার্ট বরাদ্দ হলেও বাঁশ – কাঠের সেতু দৃশ্যমান জনসাধারণের নজরে। চলছে জনমনে নানা গুঞ্জন। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন তহবিল ২০২২/২৩ অর্থবছরে কালভার্ট বরাদ্দ হলেও সেখানে দৃশ্যমান বাঁশ- কাঠের সেতু। প্রশাসনের নজরে না পড়লেও নানা প্রশ্ন ঘুরে বেড়ায় জনমনে। মানিকগঞ্জে শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নে ফলসাটিয়া হতে শিমুলিয়া ইউনিয়ন তাড়াইল এলাকায় যাওয়া- আসার একমাত্র রাস্তা। ফলসাটিয়া মধ্যপাড়া আলম দেওয়ানের বাড়ির সামনে খালের উপর বক্স কালভার্ট ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হলেও সেখানে দৃশ্যমান এক বাঁশের সাঁকো। স্থানীয়রা বলেন, শুনেছি কালভার্ট হবে। কিন্তু দেখছি না। এই কালভার্টের কারণে আমরা এই অঞ্চলের মানুষ চরম ভোগান্তিতে সুবিধাভোগী জনসাধারণ। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তায় যাওয়া-আসা করে। কৃষি কাজেও আমাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। একই অর্থবছরে মহাদেবপুর ইউনিয়নের কাউয়ারবিল ভাটিকান্দা এলাকায় খালের উপর বক্স কালভার্ট ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু সেখানে এক ভিন্ন রূপ। অন্য জায়গার পুরাতন কাঠের সেতু ভেঙে ওখানে স্থাপন করা হয়। জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। কালভার্ট পাস হলো তাহলে কি কাঠের কালভার্ট পাশ হয়েছে। এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খায় সচেতন মহলের মনে। অপরদিকে, ফলসাটিয়া বাসস্ট্যান্ডের পাশে ঢাকা- আরিচা মহাসড়ক হতে আলাউদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মাটি দ্বারা পূর্ণনির্মাণ বাবদ ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। স্থানীয়রা জানান, ওই সময় অল্প কিছু মাটি ফেলেছে। তারপর আর খবর নেই। ২০২৪/২৫ অর্থবছরের ইট সোলিংয়ের বরাদ্দেকৃত কাজ শেষ করে। উপজেলা উন্নয়ন তহবিলের আওতায় গৃহীত প্রকল্প ২৩/২৪ অর্থবছরে ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বরংগাইল গ্রামীণ ব্যাংক হতে কলোনির ব্রিজ পর্যন্ত ২ পাশে গাইড ওয়ালসহ সংস্কার বাবদ ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। সরজমিনে দেখা যায়, সংস্কার তো দূরের কথা ১ পাশে অল্প কিছু গাইড ওয়াল করেই কাজের সমাপ্তি। এরকম আরো অনেক অনিয়ম চোখে পড়ার মত। মহাদেবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাজাহান মিয়ার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি জানান, আমার পরিষদে কোন সাংবাদিক আসেনা। দুই ভাই সাংবাদিক তাও কখনো পরিচয় দেই না। শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকির হোসেন বলেন, এবিষয়ে আমার জানা নেই। খবর নিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।