
পোরশা(নওগাঁ)প্রতিনিধি
কামরুজ্ জামান সরকার বাবু: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত নওগাঁর পোরশায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ১০৫ হেক্টর জমির আমন ধানের গাছ জমির উপর নুয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নিচু জমির পানি তাড়াতাড়ি না সরলে ধানের ক্ষতির শঙ্কা করছেন কৃষকেরা। তবে কৃষি সংশ্লিষ্ট মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, যে পরিমান বৃষ্টি হয়েছে, তাতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা খুব একটা বেশী হবেনা। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে এ উপজেলার গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির সাথে সামান্য বাতাস হচ্ছে। আর কখনো বাতাস না হলেও জোরে বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার রাতে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এতে উপজেলার নিচু জমিতে আমন ও রবি ফসলের খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। শনিবার সরেজমিনে দেখাগেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আমন ধান পানিতে ডুবেগেছে। অনেক এলাকায় ধানগাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। আবার অনেক এলাকায় ধান হেলে পড়েছে। তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের বারিন্দা গ্রামের কৃষক হুমায়ন কবির জানান, তাদের আবাদকৃত জমির মধ্যে বৃষ্টিতে দুই বিঘা জমির ধান মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। ১৫ থেকে ২০ দিন পর তার ধান কাটার কথা ছিল। বৃষ্টির কারনে তার খেতের ধানগাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। তাতে ফলন পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। জালুয়া কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন, কষ্ট করে তারা আবাদ করেছেন। আর ধান কাটার সময় ঘনিয়ে এসেছে, এসময় বৃষ্টি হলো এতে ধানের ফলন কম হবে। এলাকার প্রায় জমির ধানের একই অবস্থা বলে জানান। নিতপুরের চাষি আবুল হাসেম জানান, শুয়ে পড়া ধানগাছে কয়েক দিনের মধ্যেই পোকায় আক্রমণ করতে পারে। এতে ধান চিটা হবার সম্ভাবনাও রয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মামুনুর রশিদ জানান, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৫ হাজার ৪০৫হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ১৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ১০৫ হেক্টর জমির ধান নুয়ে পড়েছে। এ সময়টা একটু সংবেদনশীল। তবে বৃষ্টির পানি সরেগেলে এ নুয়ে পড়ার কারণে জমির ধানে ক্ষতির আশঙ্কা খুব নেই। এছাড়াও বৃষ্টিতে এ উপজেলায় ৩ হেক্টর জমির শীতকালীন আগাম আলু ও শাক-সবজির খেতে পানি জমে রয়েছে। জমি থেকে পানি নেমে গেলে সবজির ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তবে আরো দু একদিন বৃষ্টি হলে মুলাজাতীয় সবজি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যারা আগাম আলু লাগিয়েছেন, তাদের রোপণ করা আলুবীজ পচে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে।