মিয়া আবদুল হান্নান : জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান ব্র্যরো ও ইরাক কুয়েত প্রত্যাগত বাংলাদেশী কল্যাণ সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে
কুয়েত-ইরাক প্রত্যাগতদের অনুকূলে জাতিসংঘের তৃতীয় কিস্তির অর্থ প্রাপ্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দাবিদার সংগঠন ও আবেদনকৃত ব্যক্তিগণের সাথে সংশ্লিষ্টগণের মতবিনিময় সভা
কুয়েত-ইরাক প্রত্যাগতদের অনুকূলে জাতিসংঘের তৃতীয় কিস্তির অর্থ প্রাপ্তির লক্ষ্যে এবং এ সংশ্লিষ্ট দাবিদার সংগঠন ও আবেদনকৃত ব্যক্তিগণের সাথে বিএমইটি, বাংলাদেশ ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক এর প্রতিনিধিগণের একটি সভা আজ ৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় বিএমইটি'র সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইরাক কুয়েত প্রত্যাগত বাংলাদেশী কল্যাণ সমিতির ৭২ হাজার আন্তর্জাতিক শ্রমিক উপসাগরীয় যুদ্ধে ফেরত আসতে বাধ্য হয়েছিল। তাদের অমিমাংসিত বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জনশক্তি কমর্সংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক গ্রেড-১ সালেহ আহমদ মোজাফফর । উক্ত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপর্যুক্ত একজন প্রতিনিধি মধ্যে রয়েছেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সোনালী ব্যাংক পিএলসি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জনতা ব্যাংক পিএলসি, ব্যবস্থাপক, সোনালী ব্যাংক, কাকরাইল শাখা। ব্যবস্থাপক, উত্তরা ব্যাংক, কাকরাইল শাখা। উপ-পরিচালক (সাধারণ সেবা), জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো, ঢাকা। মোঃ মাসুদ রানা পরিচালক,
উপসাগরীয় যুদ্ধে ফেরত আসা ক্ষতিগ্রস্থ বাংলাদেশী আন্তর্জাতিক ৭২ হাজার শ্রমিকদের সংগঠনের সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ইনঞ্জিনিয়ার এস এম ওয়ালী উল্লাহ ঢালী, ইরাক-কুয়েত প্রত্যাগত বাংলাদেশী কল্যাণ সমিতি, সহ সভাপতি মিজানুল হক মিজান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আবু তাহের সরকার, যুগ্ম মহাসচিব মিয়া আবদুল হান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ লাবীব উদ্দিন, আবু আহাম্মদ ভূঁইয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আমজাদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মোঃ আবুল হোসেন, প্রচার সম্পাদক মোঃ আতাউল হক খোকন, সহ-প্রচার সম্পাদক মোঃ খোরশেদ আলম, দফতর সম্পাদক খন্দকার তোফাজ্জল হোসেন, সহ দফতর সম্পাদক মোঃ ফজল মিয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুল হাই ভুইঁয়া, মোঃ আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ।
১৯৯০ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধে ইরাক কুয়েত হতে ফেরত আসা ৭২ হাজার শ্রমিকদের ১০ দফা দাবী জনশক্তি কমর্সংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক গ্রেড-১ সালেহ আহমদ মোজাফফর সভাপতি নিকট তুলে ধরেন ইরাক কুয়েত প্রত্যাগত বাংলাদেশী কল্যাণ সমিতি কাজী নজরুল ইসলাম।
১। বারিধারা ভাটায়া মৌজায় কালাচাঁদপুর গুলশান এলাকায় ১৯৯০ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধে শূন্য হাতে ফেরত আসা ৭২ হাজার প্রত্যাগতদের ১৮ কোটি ও কল্যাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা মোট ২৮ কোটি টাকা দিয়ে ক্রয়কৃত ১৫১.৫৪ কাঠা জমি উপর আইটি সেন্টার ও কিডনি হাস্পাতাল নির্মাণের কথা ছিলো। উলেখিত প্রকল্প নির্মাণে বিলম্ব হচ্ছে বিধায় আমরা হতাশ, এই জন্য প্রত্যাগতদের টাকায় কেনা জমি ফেরত দেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।
২। ইরাক-কুয়েত উপসাগরীয় যুদ্ধে প্রত্যাগতদের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে সল্প সুদে লোন দিয়ে প্রত্যাগতদের কর্ম-সংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩। কুয়েত সরকার কর্তৃক ঘোষিত ৯ মাসের যুদ্ধকালীন সময়ের বকেয়া বেতন দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ছিলেন কুয়েতের প্রয়াত আমির শেখ নওয়াফ আল আহমাদ আল জাবের আল সাবা । কুয়েত সরকার বকেয়া বেতন বাবদ টাকা আমাদের দিয়েছে কিনা আজও আমরা জানতে পারি নাই। যদি দিয়ে থাকে দ্রুত প্রত্যাগতদের মাঝে বণ্টন করা হউক। না দিয়ে থাকলে কুয়েত সরকারের সাথে আলোচনা করে বকেয়া বেতনের টাকা আনার ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিলিয়ন্টন করায় জোর দাবী জানাচ্ছি।
৪। ইরাক এবং কুয়েতের বিভিন্ন ব্যাংকে রেখে আসা রেমিনেন্টস/টাকা দ্রুত প্রত্যাগত প্রকৃত দাবীদ্বারকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি। ৫। আমরা অনেক প্রত্যাগত যথা সময় সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণের টাকা জাতিসংঘের কাছে আবেদন করতে পারি নাই। পরবর্তীতে জনশক্তি ব্যুরো
মহাপরিচালক মহোদয়ের নিকট আবেদন করি, সি. ফরম এর মাধ্যমে আমাদের কে ক্ষতিপূরণ দাবী করার অনুমতি দেন। আমরা জনশক্তি ব্যুরো অফিস থেকে সি, ফরম গ্রহণ করি এবং ক্ষতিপুরণ উলেখ করে অফিসে আবেদন জমা করি, লেইট ক্লেইম হিসাবে। আমরা বিশ্বস্থ সূত্রে জানতে পেরেছি, জাতিসংঘ ক্ষতিপুরণ কমিশন পর্যায়ক্রমে সমস্ত টাকা পরিশোধ করে দিয়েছে। আমাদের লেইট ক্লেইমের টাকা জাতিসংঘ কমিশন দিয়েছে কিনা, দ্রুত জাতিসংঘের সাথে আলোচনা করে সি, ফরমের টাকা আনা এবং বিলিবন্টনের জোর দাবী জানাচ্ছি। ৬। উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় আর্ন্তজাতিক রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মাধ্যমে ৪৪৪ জন যুদ্ধবন্দী বাংলাদেশী নাগরিক দেশে ফেরত আসে, মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে বিবেচনা করে উক্ত ৪৪৪ জন যুদ্ধবন্দীর ক্ষতিপূরণের টাকা অনতি বিলম্বে বিবতরনের জোর দাবী জানাচ্ছি। ৭। যে সকল প্রত্যাগত আমরা ইরাক ও কুয়েতী দিনার সোনালী ব্যাংকে জমা করেছিলাম, তার বিনিময়ে বাংলাদেশী টাকা আজও পাইনি। অনতিবিলম্বে দৈনিক পত্রিকায় ও টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জমাকৃত দিনারের টাকা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি। ৮। ৩৩৪ জন প্রত্যাগত দাবীর আজ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের টাকা পায় নাই। তাদেরকে খুজে বের করে জাতিসংঘের প্রদত্ত ক্ষতিপূরণের টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি। জনশক্তি ব্যুরো একবার মাত্র পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন, যাহা হয় তো ৩৩৪ জন প্রত্যাগতর চোখে পড়েনি। পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা সহ পুনরায় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি। ৯। ইরাকে বি সি এল ও টেকনোকন কোম্পানীতে যে সকল বাংলাদেশী শ্রমিকরা কর্মরত ছিলেন, তাদের বকেয়া বেতন এখনো কোম্পানী সম্পূর্ণ পরিশোধ করে নাই। জাতিসংঘ ক্ষতিপুরণ কমিশন সকল কোম্পানীর ক্ষতিপূরণের টাকা বহু আগে পরিশোধ করেছেন। অনতি বিলম্বে কোম্পানী ও শ্রমিকদের সাথে পাওনা দেনা আলোচনা করে বকেয়া বেতন দেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।
১০। আমরা প্রত্যাগতরা মনে করছি, ১৫১.৫৪ কাঠা জমি ক্রয় এবং জাতিসংঘ প্রদত্ত ক্ষতিপূরণের টাকা বিলিবন্টন প্রক্রিয়ায় শেষ মূহুতে পর্যন্ত অনেক অনিয়ম দূর্নীতি হয়েছে। প্রত্যাগত সমিতির সমন্বয় বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন যোগ্য ব্যক্তিকে প্রধান করে -একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি করার জোর দাবী জানাচ্ছি
আমাদের উল্লেখিত দাবী দাওয়া গুলি দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।
১৯৯০ সালে ইরাক-কুয়েত উপসাগরীয় যুদ্ধে ফেরত আসা ৭২০০০ (বাহাত্তর হাজার) বাংলাদেশী শ্রমিকদের ১০ দফা দাবী-দাওয়া নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। ইরাক কুয়েত কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, প্রত্যাগতের অর্থ্যায়নে রাজধানী ঢাকার কালাচাঁদপুর ভাটারা মৌজায় ১৫১.৫৪ কাঠা জমি ক্রয় করা হয়। উক্ত জমির উপর ওয়েজ আনাস কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে কিডনি হাসপাতাল ও আইটি সেন্টার নির্মাণ করার কথা ছিল। দীর্ঘ ২৫ বছরে নির্মাণ কাজ হয় নাই বিধায় প্রত্যাগতরা জমি ফেরত চায়।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন ইরাক কুয়েত প্রত্যাগদের মাঝে বিতরণ। কুয়েতের আমির ঘোষিত ৯ মাসের বকেয়া বেতন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ব্যুরো কাকরাইল অফিসে প্রত্যাগতদের অর্জিনিয়াল পাসপোর্ট, আইডি কার্ড, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা ছিল। কুয়েত এবং ইরাকের ব্যাংকের রেখে আসা টাকাসহ ১০ দফা দাবী বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের নিকট দাবী তুলে ধরেন। এছাড়া প্রত্যাগতদের দাবী-দাবা নিয়ে বিগত সরকারের আমলে দূর্নীতি হয়েছে, একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করার জোর দাবী জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এস এম নজরুল ইসলাম, সহ- সম্পাদকঃ জাহিদ হোসেন (সজল)
প্রকাশক কর্তৃক চৌকস ভবন চরকালিগঞ্জ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং আল আমিন প্রিন্টার্স এন্ড প্যাকেজ লিঃ ১৪৩/বি চৌধুরীপাড়া ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৬/৫৭ শরীফ ম্যানশন (৪র্থ তলা) মতিঝিল বা/এ,ঢাকা-১০০
মোবাইলঃ +৮৮০১৭১৬-১২৭৮১১, +৮৮০১৯৩৩-৯৪৮৫৬৭
ই-মেইলঃ dainikchoukos@gmail.com, choukasinfo@gmail.com
ওয়েবসাইটঃ www.dainikchoukos.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত