চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অবকাঠামো নির্মাণ করতে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য আজ বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন সহকারী প্রকল্প পরিচালকসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা প্রতিষ্ঠার প্রায় সাত বছর পর ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত কাজ চলছে। প্রস্তাবিত জমির শ্রেণি যাচাই-বাছাই শেষে ওই এলাকায় ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদি ইউনিয়নের নিজ গাছতলা গ্রামে ব্রিজসংলগ্ন এলাকা থেকে পূর্ব দিকে দেওয়ানবাড়ি পর্যন্ত ডাকাতিয়া নদীর পাড়ের জমিগুলোর শ্রেণি সঠিক আছে কি না তা পরিদর্শন করা হয়। এ সময় চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) একরামুল সিদ্দিক, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশিদ, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পি দত্ত রনি উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে প্রস্তাবিত জমি। একরামুল সিদ্দিক বলেন, ‘চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের জন্য এর আগেও জমির শ্রেণি সঠিক আছে কি না, তা দেখা হয়েছে। আমাদের নিজস্ব সার্ভেয়ারদের মাধ্যমে এখন আবার অধিকতর যাচাই করা হলো। কারণ, এর সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের আর্থিক বিষয় জড়িত। যাচাই শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। এরপর প্রাক্কলন তৈরি করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব কাজ সম্পন্ন হবে এবং আমরা দুটি মৌজায় মেডিকেলের জন্য এখানে ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করব।’সহকারী প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘২০১৮ সালে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পর ইতিমধ্যে দুটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা পাস করে বের হয়েছেন। চাঁদপুর সদর হাসপাতালে বর্তমানে মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এতে জেলা ও আশপাশে অনেক রোগী সেবা নিতে পাচ্ছেন।’ হারুন অর রশিদ আরও বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ে শ্রেণি যাচাই-বাছাই কাজের মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়নকাজ এগিয়ে চলছে। মেডিকেলের অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ হলে শিক্ষার্থীদের বহুদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে।’