পরকীয়ার জেড়ে শিক্ষক ,পুলিশ হেফাজতে।অতঃপর থানায় মামলা গ্রেফতার-২

News News

Admin

প্রকাশিত: ২:৪৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২৫
 মানিকগঞ্জ
পরকীয়ার জেরে প্রধান শিক্ষক পুলিশ হেফাজতে, অতঃপর থানায় মামলা হলে ২ জনকে আটক করেছেন পুলিশ। পরকীয়া যেন এক সামাজিক ব্যাধি। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে চায় এ জাতি। পরকীয়া শুধু অপরাধ নয়, এটি একটি সংসার ভাঙ্গা গল্প। যারা পরকীয়া করে, তারা হয়তোবা আনন্দে থাকেন, মাঝখানে ঝরে পড়েন পরিবারে কোমলমতি শিশুরা। অপরাধ করে পরকীয়ার ব্যক্তিরা আর শাস্তি ভোগ করে তাদের সন্তানেরা। ২৭ অক্টোবর সোমবার দিবাগত রাত ১ ঘটিকায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পাথরাইল টিপু সুলতানের বাড়ি থেকে পরকীয়া জড়িত জনতার হাতে ধরা পড়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এদিকে, টিপু সুলতানের স্ত্রী ৩ জনের নামে অভিযোগ করেছে জানান তিনি ছাত্রীর মা। তিনি আরো জানান, যে ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তারা আমাকে ধর্ষণ করতে এসেছিলো। এলাকা সূত্রে জানা যায়, গ্রামের টিপু সুলতানের মেয়েকে প্রাইভেট পড়ান পাথরাইল আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু জাহের মুন্নু। সে দীর্ঘদিন যাবত টিপু সুলতানের মেয়েকে প্রাইভেট পড়ায়। লোকমুখে জানা যায়, টিপু সুলতানের স্ত্রীর সাথে দীর্ঘদিন যাবত পরকীয়ার সম্পর্ক চলছে। এলাকায় নানা গুঞ্জন থাকায় গত সোমবার রাত ১টা সময় এলাকার কিছু যুবকেরা পাহারা দিয়ে তাদের ২ জনকে হাতেনাতে ধরেন। ধরার পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে এলাকাবাসী। যারা এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তাদের বিরুদ্ধে টিপু সুলতানের স্ত্রী নিজে বাদী অভিযোগ দিলে তাদের মধ্য ২ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেন। এলাকাবাসী আরো জানান, প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে ছাত্রীর সাথে সম্পর্ক করার পর তাকে বিয়ে করেন মূন্নু মাস্টার। সে আইডিয়াল স্কুলের ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতে যায় ছাত্রীর বাসায়। প্রাইভেট পড়ানোর ফাঁকে ছাত্রী মায়ের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক জড়ান। এভাবে চললে একজন শিক্ষকের প্রতি কিভাবে ভরসা থাকে। সচেতনমহলের দাবি, এই রকম শিক্ষকের কাছে ছাত্রী কখনোই নিরাপদ হতে পারে না। এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। ওই স্কুলের শিক্ষকরা জানান, আমরা শুনেছি কিন্তু বিষয়টি আমাদের কাছে লজ্জাস্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে যদি অপরাধী হয় তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তার শাস্তি দেওয়া হোক। একজন দোষ করলে আমরা কেন শিক্ষক সমাজ বদনামের ঘানি টানবো। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মোঃ সায়েদুর রহমান মুঠোফোনে জানান, আমি শুনেছি। কিন্তু ৮ বছর যাবত এ স্কুলে আছে, কোনো দিন এরকম শুনিনি। মানুষের মন কখন পরিবর্তন হয় বোঝা যায় না। মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি মুঠোফোনে জানান, ওই মহিলা একটি অভিযোগ করেছে। মামলা রুজু হয়েছে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।