জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা মুহম্মদ আলতাফ হোসেনের ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

News News

Admin

প্রকাশিত: ১২:৪২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২৫
১৯৮২ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি মহান সাংবাদিক ও সংগঠক মুহম্মদ আলতাফ হোসেন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত “জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা”-র ঢাকা জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল রাজধানীতে মরহুম মুহম্মদ আলতাফ হোসেন এর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার রুহের মাগফিরাত কামনায় এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব জনাব আলমগীর গনি। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীতি নির্ধারক কমিটির সদস্য এবং মরহুম আলতাফ হোসেন সাহেবের ছোট ছেলে মঞ্জুর হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীতি নির্ধারক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার মজুমদার, কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রচার সচিব এম হোসাইন আহমদ, দপ্তর সম্পাদক রাব্বী মোল্লা, তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব মোঃ নুরনবী সোহেল, সহকারী মহাসচিব খলিলুর রহমান, এবং সাংগঠনিক সচিব শরিফ ফায়জুল কবির।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ঢাকা জেলা শাখার সভাপতি মোঃ মহসিন উদ্দিন। সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক সিহাব উদ্দিন রাজ।
সভায় বক্তারা মরহুম মুহম্মদ আলতাফ হোসেনের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি শুধু একজন সাংবাদিকই ছিলেন না, বরং ছিলেন একজন সত্যনিষ্ঠ, আদর্শবান ও নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ। সাংবাদিক সমাজের অধিকার রক্ষায় তিনি আজীবন কাজ করেছেন এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সৎ সাংবাদিকতা বিকাশে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তাঁর হাত ধরেই দেশের বিভিন্ন জেলায় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়ে।
প্রধান অতিথি আলমগীর গনি তাঁর বক্তব্যে বলেন,
“মরহুম আলতাফ হোসেন শুধু জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন প্রেরণার উৎস। সাংবাদিক সমাজে ন্যায়ের পক্ষে তাঁর অবস্থান ও নির্ভীক ভূমিকা আজও আমাদের জন্য দৃষ্টান্তস্বরূপ। তাঁর স্বপ্ন ছিল সাংবাদিকদের ঐক্য, মর্যাদা ও পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা—আমরা সেই স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছি।”
প্রধান আলোচক মঞ্জুর হোসেন বলেন,
“আমার বাবা সারা জীবন সততার সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি সাংবাদিকতাকে পেশা নয়, বরং দায়িত্ব ও মানবিকতার এক মহান ক্ষেত্র হিসেবে দেখতেন। তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শই আমাদের পথপ্রদর্শক।”
বিশেষ অতিথি আবুল বাসার মজুমদার বলেন,
“জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সব সময় গণমানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করে এসেছে। মরহুম আলতাফ হোসেনের চিন্তা ও আদর্শ অনুসরণ করে আমরা সংগঠনটিকে আরো গতিশীল ও আধুনিক করে তুলতে চাই।”
এছাড়া উপস্থিত বক্তাগণ — এম হোসাইন আহমদ, নুরনবী সোহেল, রাব্বী মোল্লা, খলিলুর রহমান ও শরিফ ফায়জুল কবির — সংগঠনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, সাংবাদিক সমাজের স্বার্থরক্ষা, প্রশিক্ষণ, এবং নৈতিক সাংবাদিকতা চর্চায় সংস্থার ভূমিকা আরও শক্তিশালী করতে একযোগে কাজ করা হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন: মোঃ সোহেল রানা, এইচ এম রাফি, মোঃ শহিদুল ইসলাম, হোসনে আরা হীরা, সুইটি আক্তার, ওসমান গনি, মোঃ রাসেল, মোঃ আবুল খায়ের, মোঃ সুমন, কামরুজ্জামান আকাশ, মোঃ কামাল হোসেন, জি. এম মীর আমিন, শাহীনুর খাতুন প্রমুখ।
বক্তাগণ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও সংগঠিত করার আহ্বান জানান এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, মরহুম আলতাফ হোসেনের চিন্তা, আদর্শ ও কর্মধারা ধরে রাখতে পারলেই সাংবাদিক সমাজকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
আলোচনা শেষে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম। মোনাজাতে উপস্থিত সকলে মহান আল্লাহর নিকট মরহুম মুহম্মদ আলতাফ হোসেনের রুহের শান্তি ও জান্নাতুল ফেরদৌস কামনা করেন।
সর্বশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
আল্লাহ তায়ালা মরহুমকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।