রাজশাহী মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্নীতি ও নিম্নমানের কাজ — এলাকাবাসীর ক্ষোভ চরমে

ক্রাইম রিপোর্টার : মোঃ রাজীব খাঁন
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ৪নং মৌগাছি ইউনিয়নের মৌগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন, গেট নির্মাণসহ সরকারি বাজেটভিত্তিক কাজগুলোতে ব্যাপক অনিয়ম ও এলজিইডির (LGED) অবহেলার কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের নতুন করে নির্মিত প্রধান ফটকটি উদ্বোধনের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার ও কাজের তদারকিতে অবহেলার ফলেই এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয়ের চারপাশে দেওয়াল, রঙের কাজ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও নকশা অনুযায়ী কাজ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সরকারি বাজেট বরাদ্দ থাকলেও তা সঠিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট এলজিইডি কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরস্পরের যোগসাজশে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করছেন বলে স্থানীয়দের ধারণা।
বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ জানান,
“আমাদের শিশুদের জন্য এই স্কুল—কিন্তু এখন ভেতরে প্রবেশ করলেই ভয় লাগে। গেট ভেঙে পড়েছে, দেয়াল ফাটল ধরেছে, তবু কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে এলজিইডির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “কাজটি সাব-কন্ট্রাক্টে দেওয়া হয়েছিল, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
এদিকে, এলাকাবাসী দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজের গুণগত মান যাচাই ও দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে। তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাজের নামে এই ধরনের দুর্নীতি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি অন্যায়।
মৌগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই অনিয়ম নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছে সচেতন মহল। সঠিক তদন্ত ও জবাবদিহিতা না থাকলে এ ধরনের দুর্নীতি ভবিষ্যতেও চলতে থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।