সাইফুল ইসলাম, রামগড়।
কিশোর গ্যাং এর প্রধান শাহাবুদ্দিন ও সাব্বির গংদের হামলায় মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে মোঃ সরওয়ার হোসেন (৫০) নামে এক ব্যক্তি, মোঃ সরওয়ার হোসেন খাগড়াছড়ির রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন, শুক্রবার ৩ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১০টার সময় স্কুল মাঠেই শাহাবুদ্দিন এর নেতৃত্বে একদল মাদকাসক্ত কিশোর গ্যাং সরওয়ার এর উপর অতর্কিত হামলা চালায় এতে তিনি মারাত্মক ভাবে আহত হন, বর্তমানে সরওয়ার হোসেন রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। হামলাকারী কিশোর গ্যাং এর প্রধান মোঃ শাহাবুদ্দিন রামগড় পৌর সভার ৯নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ জসিম উদ্দিন (কসাই) এ-র ছেলে বলে এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে।।
রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মোঃ সরওয়ার হোসেন জানান, রাতে আমি স্কুল কোয়ার্টারে থাকি, এবং রাতে স্কুলের নিরাপত্তার বিষয়টিও আমাকে দেখতে হয়, শুক্রবার রাত আনুমানিক ১০টার সময়, আমি বাজার থেকে স্কুল কোয়ার্টারে থাকার যখন যাচ্ছি তখন শাহাবুদ্দিন, কে স্কুল মাঠে ঘুরাঘুরি করতে দেখে, তাকে বললাম, তুমি এত রাতে স্কুলের ভিতরে কি করো, এ-ই কথা বলার সাথে সাথে শাহাবুদ্দিন আমাকে বাজে ভাবে গালাগালি করে এর পর আমাকে কিল ঘুষি মারতে থাকে, এক পর্যায় আমি মাটিতে পড়ে গেলে স্কুল ভবন নির্মাণের মেস্তরি আমির ভাই দেখে ফেললে তখন শাহাবুদ্দিন পালিয়ে যায়। এতে আমি মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছি। সরওয়ার হোসেন আরো জানান এই ঘটনার এক মাস আগে গত ২৬ আগস্ট আমি সন্ধ্যায় গেইট বন্ধ করতে গেলে তারা গেইট বন্ধ করতে নিষেধ করে, আমি বললাম তোমরা চলে যাও সন্ধা হয়ে গেছে, স্কুলের মেইন গেইট বন্ধ করতে হবে, একথা বললাম কেন তারা গেইটের সামনে মাগরিবের আজানের সময় সাব্বির হোসেন (২০) পিতা আরিফ হোসেন, মাতা মনি বেগম, শাহাবুদ্দিন সহ ৮\১০ মিলে আমাকে কিল ঘুষি মারতে থাকে তখন আমার মুখের ২টি দাঁত ভেঙে যায়, তাৎক্ষণিক মানুষজন এসে হাসপালের নিয়ে যায়, তার কিছুদিন পর ৪ সেপ্টেম্বরে ঘটনার বিচার চেয়ে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করি, পরিতাপের বিষয় হলো যে আমি সঠিক বিচার পাইনি তখন। ওরা বার বার স্কুলের ভিতর গভীর রাতে প্রবেশ করে মদ গাঁজা খাবে চুরি করবে , আমি নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে বাঁধা দিতে পারবো না, এদিকে স্কুলের কিছু হারিযে গেলে আমার চাকরির উপর চাঁপ আসে,অন্য দিকে চোরদের বাঁধা দিলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি আসে, মাইর খেতে হচ্ছে, এভাবে চললে আমি কোথায় যাবো তাহলে।। বর্তমানে স্কুলের কোন নিরাপত্তাই নেই।
রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজের শ্রমিক মোঃ আমির হোসেন বলেন, রাত ১০টার দিকে শাহাবুদ্দিন নামে একটি ছেলে সরওয়ার ভাই,কে স্কুলের ভিতরে কিল ঘুষি মারতে মারতে মাটিতে ফেলে দে য়, আমি রুমের ভিতর ছিলাম চিৎকার সুনে বাহিরে বের হলে তখন দেখি শাহাবুদ্দিন পালিয়ে যায়।।
এবিষয় রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর কর্মরত চিকিৎসক সুত্রে জানা গেছে, সরওয়ার হোসেন এর মাথা, বুকে, মুখের চোয়ালে মারাত্মক আঘাত লেগেছে, চিকিৎসা চলমান রয়েছে,। উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপালে নিয়ে গেলে ভাল হয়।