বাগেরহাটে সাংবাদিক হায়াত উদ্দিন হত্যার আসামি গ্রেফতার

News News

Admin

প্রকাশিত: ১১:৩১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০২৫

 

আব্দুল্লাহ সরদার ফকিরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা শাখার অভিযানে চঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস সাংবাদিক এস এম হায়াত উদ্দিন হত্যা কাণ্ডের রহস্য উন্মোচন ও দুই আসামী গ্রেফতার।বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শামীম হোসেন বলেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী বাগেরহাট সদর উপজেলার গোপালকাঠি এলাকার মো. শহিদুল হাওলাদারের ছেলে মোহাম্মদ ওমর ফারুক ওরফে ইমন হাওলাদার (২৫) এবং একই এলাকার মো. আব্দুল হাই’র ছেলে মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ওরফে আশিক (২৫)। সাং-গোপালকাটি, থানা- বাগেরহাট সদর, জেলা-বাগেরহাট।
তাদেরকে সোমবার ৬ই অক্টোবর সন্ধ্যার সময় ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন আশুলিয়া পল্লি বিদ্যুৎ এলাকায় নিউ গোল্ডেন সিটি আবাসিক হোটেলের চতুর্থ তলার ১১৮ নং কক্ষ থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে, ভিকটিম এস এম হায়াত উদ্দিন(৪২) জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার রিপোর্টার হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় সহ তাদের অন্যান্য সহযোগী আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হায়াত উদ্দিন(৪২)কে চাপাতি, ধারালো রামদা, ছুরি, লোহার রড,লোহার হাতুড়ী, ধারালো হাসুয়া ও লাঠিসহ মটরসাইকেল যোগে এসে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ী ভাবে কুপিয়ে মাথায়, ঘাড়ে, পাজোরে, পেটে, পায়ে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে এস এম হায়াত উদ্দিন (৪২)কে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘেষণা করে।
শনিবার বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে হায়াত উদ্দিনের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। শনিবার (০৪ অক্টোবর) রাতে হাড়িখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তার জানাজা ও একই এলাকায় নিজ বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এরও একদিন পরে রোববার (০৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হায়াত উদ্দিনের মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন।
উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে বাগেরহাট সদর মডেল থানার মামলা নং-০২, তাং-০৫/১০/২০২৫ খ্রিঃ,ধারা-৩০২/৩৭৯/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। আসামীদ্বয়কে অদ্য ০৬/১০/২০২৫ খ্রিঃ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে তারা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক হত্যার সঙ্গে জড়িত মর্মে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের নিমিত্তে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।