ডিএমপির জুলাই-২০২৫ অপরাধ সভায় পুরুষ্কার পেলেন ডিবি-সাইবার (উত্তর) বিভাগের এসআই মোঃ আবু আহসান রাসেল

News News

Admin

প্রকাশিত: ৮:২৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৫, ২০২৫

 

ক্রাইম রিপোর্টার: মোঃরাজিব খাঁন

যাত্রী হিসাবে গাড়িতে তুলে অপহরন ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের মূলহোতাসহ ০৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের অর্গানাইজ্ড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম ।

ডিএমপি মিডিয়া বিভাগের সূত্রে জানা যায় গ্রেফতারকৃত আসামীরা অন্যান্য সহযোগী আসামীদের সহায়তায় যাত্রীদের ঢাকা হইতে ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন মহাসড়কে প্রাইভেটকার যোগে যাওয়ার প্রস্তাব দিলে ভিকটিম যাওয়ার জন্য রাজি হইলে তাকে গাড়িতে তুলে। পরবর্তীতে নির্জন কোন জায়গায় ভিকটিমের মাথায় কালো কাপড় পরিয়ে মুখে সাদা কসটেপ পেচিয়ে তাকে অপহরন করে। এরপর ভিকটিমের পরিবারকে কল করে ভিকটিমের বিকাশ/নগদ নম্বরসহ তাদের অন্যান্য বিকাশ/নগদ নম্বরে মোটা অংকের টাকা নিয়ে অপহৃত ব্যক্তি কে নির্জন জায়গায় ফেলে দেয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের নিকট হতে অপহরনের কাজে ব্যবহৃত একটি চৎড়নড়ী কারগাড়ি যাহার রেজি নং- ঢাকা মেট্টো- গ-২১-৬২২৪, বিভিন্ন মডেলের ০৬ (ছয়) টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম জামালপুর যাওয়ার জন্য হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর ঢাকার আউট গেটের সামনে অপেক্ষা করিতে থাকা অবস্থায় গত ইং ২১/০৫/২৫ তারিখ অনুঃ ০৫.৩০ ঘটিকায় অজ্ঞাতনামা সাদা রংয়ের প্রাইভেট ভিকটিমের সামনে দাড়াইয়া ভিকটিম কে জিজ্ঞাসা করে ময়মনসিংহ যাওয়ার কেউ আছে কিনা। ভিকটিম ভাড়া জিজ্ঞাসা করা মাত্র ভিতরে থাকা দুইজন দুষ্কৃতিকারী ভিকটিমকে জোর পূর্বক টান দিয়ে গাড়ির মধ্যে তুলে নিয়ে চোখ ও দুই হাত স্কচটেপ দ্বারা বাধিঁয়া দিয়ে ভিকটিমকে মারধর করিতে থাকে। ভিকটিম এর মোবাইল ফোন থেকে তার স্ত্রী সানজিদা আক্তার কনা কে ফোন করে ৫,০০,০০০/- টাকা দাবী করে, টাকা না পাইলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। ভিকটিমের নিকট থাকা ৫০০০/- টাকা ও দুইটি ফোন জোর পূর্বক কেড়ে নেয়। বাদীর স্ত্রীর নিকট হতে দুষ্কৃতিকারীদের দাবীকৃত ম্ুিক্তপণের হিসাবে বিকাশের মাধ্যমে মোট ২,৪৩,৭০০/- (দুই লক্ষ তেতাল্লিশ হাজার সাতশত) টাকা মুক্তিপন হিসাব পেয়ে বাদী কে শ্রীপুর থানাধীন মাস্টারবাড়ি নামক স্থানে ফেলে যায়।

উক্ত মামলার তদন্তকারী অফিসারের আসামী গ্রেফতারের সহায়তার আবেদনের প্রেক্ষিতে এসআই মোঃ আবু আহসান রাসেল ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ ডিএমপি, ঢাকা ছায়া তদন্ত আরম্ভ করে। স্থানীয় তদন্ত ও সোর্সে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের সনাক্ত করে। সনাক্তমতে আসামী ১। মানিক মিয়া (৪০), পিতা-হাবেজ উদ্দীন, মাতা- মাজেদা বেগম, স্থায়ী ঠিকানা-সাং-রাজগঞ্জ, থানা- কোতায়ালী, জেলা- ময়মনসিংহ, বর্তমান ঠিকানা- নয়ানগর (আক্কাস ম্যানেজার এর বাড়ী), খিলক্ষেত, ঢাকা ২। মোঃ সোহাগ (৩৩), পিতা- মোঃ সিরাজ আলী, মাতা- মোছাঃ মাজেদা খাতুন স্থায়ী ঠিকানা- সাং- সুতিয়াখালী (ইন্তাজ ফকিরের বাড়ি), থানা- কোতায়ালী, জেলা- ময়মনসিংহ, বর্তমান সাং-চান্দনা (পম্পি সোয়েটার পিছনে ভাঙ্গাবাড়ি), গাজিপুর সদর, গাজিপুর, ৩। মোঃ হেলাল মিয়া(৫৫), পিতা-আবু সাইদ, মাতা- সিংগাতলী  মোশারফ মাস্টারের বাড়ি) থানা- জয়দেবপুর,জেলা-গাজিপুর কে গ্রেফতার করে। আসামীদের নিকট হতে অপহরনের কাজে ব্যবহৃত ১। একটি চৎড়নড়ী কারগাড়ি যাহার রেজি নং- ঢাকা মেট্টো- গ-২১-৬২২৪, ২। বিভিন্ন মডেলের ০৬ (ছয়) টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে উপরোক্ত ঘটনা ছাড়াও আরো অনেক অপরাধ করেছে মর্মে স্বীকার করেছে মর্মে জনিয়েছেন ডিএমপির মিডিয়া বিভাগ। পরবর্তীতে উক্ত আসামীদের বিমানবন্দর থানার মামলা নং- ০৩, তারিখ-০৩/০৬/২০২৫ ইং, ধারা- ৩৬৫/৩৪২/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ পেনাল কোড মূলে তদন্তকারী অফিসারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।