
আলেমা মোবাশশিরা
সমাজ গঠনে ও সমাজের ধর্মীয় চাহিদা পূরণে কওমি মাদ্রাসার অবদান দিনের আলোর নেই সুস্পষ্ট। কমজোর চার দেয়ালের এই মাদ্রাসাগুলো থেকে যুগে যুগে কেমন মানুষ সৃষ্টি হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কওমি মাদ্রাসা যুগে যুগে সৃষ্টি করেছে দুনিয়ার সবচেয়ে সভ্য , নম্র-ভদ্র , চরিত্রবান , খোদাপ্রেমিক , দেশ-জাতি ও ইসলাম রক্ষার জন্য সর্বস্ব ত্যাগের একদল সৈনিক। এক কথায় এ সকল প্রতিষ্ঠান থেকে অলি, আউলিয়া, মাসায়েখে কেরাম, বুজুর্গনে দীন তৈরি হয়ে থাকেন । যাদের সান্নিধ্য লাভ করে হাজারো মানুষ অন্ধকার থেকে বের হয়ে আলোর পথে ফিরে আসেন এবং এক টুকরো সোনার মানুষে পরিণত হন। কওমি মাদ্রাসার মাশায়েখ কেরামই যুগে যুগে এই ধারাকে অব্যাহত রেখেছেন। তাদের এ মেহনতের বদৌলতে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ,আফ্রিকা, আমেরিকা ইত্যাদি প্রভৃতি দেশে লক্ষ লক্ষ আল্লাহ প্রেমিক ইলাহী প্রেমে মত্ত হয়ে আল্লাহ আল্লাহ শব্দের গুঞ্জরনে আকাশ বাতাস মুখরিত করে তুলেছেন। ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যখনই কোন বাতিল শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তখনই এই ধারার ওলামায়ে কেরাম সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছেন। দীনের সংরক্ষণ ও হেফাজতে এমন কোন ক্ষেত্রে নেই এমন কোন শাখা নেই যেখানে কওমী আলেমদের উপস্থিতি বিদ্যমান ছিল না। ইসলাম ও মুসলমানদের উপর যখনই কোন আক্রমণ হয়েছে তখনই তারা বজ্র কঠিন বাঘের ন্যায় হুংকার দিয়ে দাঁড়িয়েছেন এবং দুশমনদের ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে দিয়েছেন। কাদিয়ানী , মওদুদী, রেজাখানি সহ ইসলাম ও কুরআন বিরোধী যে কোন অপশক্তি ইসলামের মূলের উপর আঘাত এনেছেন তাদেরকেই প্রতিহত করেছেন। শুধু তাই নয় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার এবং যেকোনো সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের মোকাবেলায় তাদের ভূমিকা সূর্যের মতো উজ্জ্বল। বৃটিশদের বিরুদ্ধে দুর্বার গণ আন্দোলন মূলত কওমি উলামায়ে কেরামই গড়ে তুলেছিলেন। মোটকথা এমন কোন ক্ষেত্রে নেই যেখানে নেতৃত্বের উজ্জ্বল স্বাক্ষর রাখেননি দারুল উলুম দেওবন্দের শাখা প্রশাখা এই কওমি মাদ্রাসা।
|
|