নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অভিযানে আটক ১
এম.এম কামাল: পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ জেলা কর্তৃক ডিএমপি ঢাকার কদমতলী থানা এলাকা থেকে ২০১৭ সালে সংঘঠিত রেহানা আক্তার (ছদ্ম নাম) (১৩) অপহরণের ঘটনায় জড়িত মূল আসামী মোঃ আল আমিন (২৮) কে দীর্ঘ আট বছর পর গ্রেফতার। পিবি আই পুলিশ সুত্রে জানায়,
আলোচ্য মামলার এজাহার নামীয় আসামীরা দীর্ঘ দিন পলাতক এবং আত্মগোপনে থাকায় পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোঃমোস্তফা কামাল রাশেদ বিপিএম নির্দেশে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল বাতেন মিয়া তথ্য প্রযুক্তির বিশ্লেষণ এবং গোপন তদন্তের ভিত্তিতে ভিকটিম রেহানা আক্তার (ছদ্মনাম) (১৩) কে অপহরণের ঘটনায় জড়িত মূল আসামী মোঃ আল- আমিন (২৮), পিতা- মৃত: আবুল খায়ের সরদার, সাং- চন্দ্দপুর, ইউ/পিঃ সেনেরচর, থানা- জাজিরা, জেলা- শরীয়তপুরকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকাল অনুমান ৫ টা ৩০ মিনিটের সময় ডিএমপি ঢাকার কদমতলী থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করেন। উক্ত আসামীকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ভিকটিম রেহানা আক্তার (ছদ্মনাম) (১৩) কে অপরাপর সহযোগী আসামীদের সহায়তায় ফতুল্লা পাগলা মসজিদ মার্কেটের সম্মুখ হতে অপহরণ করেছে মর্মে স্বীকার করে। প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ভিকটিম রেহানা আক্তার (ছদ্মনাম) (১৩) আসামী আল- আমিন (২৮) এর দেওয়া প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অপরাপর সহযোগী আসামীদের সহায়তায় ভিকটিম রেহানা আক্তার (১৩) কে অপহরণ করেছে মর্মে স্বীকার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আল আমিন (২৮) কে গত ২৬ সেপ্টেম্বর পলাতক আসামীদের গ্রেফতার ও মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য ০৫ (পাঁচ) দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন সহ বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করলে বিজ্ঞ আদালত উক্ত আসামীর ০৩ (তিন) দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানার মামলা নং- ৭৭, ২০. ০৪,২০১৭, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) আইনের ৭/৩০ ধারা। নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন পাগলা মসজিদ মার্কেট এর সামনে হতে, থানা হতে অনুমান দুরত্ব ৪ কিঃ মিঃ পশ্চিম / উত্তর কোন মৌজা নং- ১৫০ ইউপি নং- ০৩, কুতুবপুর। অত্র মামলার ভিকটিম রেহানা আক্তার (ছদ্ম নাম) (১৩) মাসদাইরস্থ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেনীতে পড়াশোনা করতো। ভিকটিম প্রতিদিন স্কুলে আসা যাওয়ার পথে অত্র মামলার ১নং আসামী আল আমিন ভিকটিমকে বিরক্ত করতো এবং বিভিন্ন ধরণের কু-প্রস্তাব দিতো। উক্ত বিষয়ে বাদী মোঃ রুহুল আমিন মামলায় ১নং আসামী মোঃ আলি আমিনের মামা মেস্ত রানা মিয়ার (৩২) নিকট নালিশ করলে, মোঃ রানা মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলে যে উল্লিখিত বিষয় নিয়ে বেশী বাড়াবাড়ি করলে বাদীর মেয়ে রেহানা আক্তার (ছদ্ম নাম) (১৩) কে অপহরণ করবে। এমতাবস্থায় গত ইং ১৮/০৪/২০১৭ তারিখ সকাল অনুমান ৯ টায় বাদীর মেয়ে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হলে সকাল অনুমান ৯:৩০ ঘটিকায় ১নং আসামী মোঃ আল- আমিন (২৮) অপরাপর আসামীদের সহযোগীতায় ফতুল্লা থানাধীন পাগলা মসজিদ মার্কেট এর সামনে হতে ভিকটিম রেহানা আক্তার (ছদ্ম নাম) (১৩) কে জোড়পূর্বক অপহরণ করে। মামলাটি তদন্ত করাকালীন থানা পুলিশ গত ইং ২৬/০৪/২০১৭ তারিখ নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন পাগলা এলাকা হতে ভিকটিম রেহানা আক্তার (ছদ্মনাম) (১৩) কে উদ্ধার করেন এবং দুইজন আসামী গ্রেফতার করেন। পূর্ববর্তী তদন্তকারী কর্মকর্তা ভিকটিমের ধর্ষণ সংক্রান্তে ডাক্তারী পরীক্ষা করতঃ ডাক্তারী সনদ সংগ্রহ করে উক্ত ঘটনায় মামলার মূল আসামী গ্রেফতার এবং মূল রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় চূড়ান্ত রিপোর্ট সত্য দাখিল করেন।