
আব্দুল্লাহ সরদার, ফকিরহাট প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩ ঘটিকার সময় ফকিরহাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে কর্মসূচি শুরু হয়।
ফকিরহাট উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা এবিএম তৈয়াবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি শেখ আবুল আলা মাসুমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাট জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ।অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, ফকিরহাট উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা যুব বিভাগীয় সভাপতি শেখ সুমন হোসেন, জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ মাওলানা মোফাজ্জল হায়দার, উপজেলা (পূর্ব) ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।
সমাবেশে প্রধান অতিথি অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ বলেন,
“সরকার জুলাই জাতীয় সনদ প্রস্তুত করলেও তা এখনো কার্যকর করা হয়নি। অবিলম্বে জুলাই সনদ কার্যকর করে আগামী ফেব্রুয়ারিতে সেই সনদের ভিত্তিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। জনগণের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না করলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।
গুম-খুন, জুলুম-নির্যাতনের বিচার না করে, জুলাই গণহত্যাকারীদের বিচারের ব্যবস্থা না করে কোনো নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। নতুন করে ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।”
সমাবেশ শেষে হাজারো নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিলটি ফকিরহাট ডাকবাংলো বিশ্বরোড মোড়, ফকিরহাট বাজারের মেইন সড়কসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডাকবাংলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের স্লোগানে রাজপথ মুখরিত হয়ে ওঠে।
পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
১. জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারীতে নির্বাচন আয়োজন করা।
২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা।
৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।
৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম। নিষিদ্ধ করা।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে অংশ নেন ফকিরহাট উপজেলা জামায়াতে ইসলামী ও তার সকল অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী।