বর্ণিল আয়োজনে কুয়েট দিবস পালিত: বিশ্বমানের গবেষণায় এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়

News News

Admin

প্রকাশিত: ৭:২৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫

ওয়াহিদ মুরাদ, বিশেষ প্রতিনিধি–

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) প্রতিষ্ঠার ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১ সেপ্টেম্বর (সোমবার) দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।

সকালে প্রশাসনিক ভবন চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় দিবসটির। পরে বর্ণিল আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয় ক্যাম্পাসে। দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল প্রীতি সমাবেশ, ‘কুয়েটের অর্জন: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক উপস্থাপনা ও আলোচনা সভা, বৃক্ষরোপণ, মাছের পোনা অবমুক্তকরণ এবং বিভিন্ন বিভাগের গবেষণাগার শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্তকরণ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মাকসুদ হেলালী বলেন, “কুয়েট আজ দেশের অন্যতম শীর্ষ বিদ্যাপীঠে পরিণত হয়েছে। জ্ঞান, গবেষণা ও প্রযুক্তি শিক্ষায় আমরা বিশ্বমানের রোল মডেল হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছি। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাতেই এই অগ্রযাত্রা সম্ভব হয়েছে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, এলজিইডি’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (অব.) ও মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম। এ সময় কুয়েটের ডিন, রেজিস্ট্রার, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে যাত্রা শুরু করা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৬ সালে রূপান্তরিত হয় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি) হিসেবে। পরে ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর এটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) নামে।

দিনব্যাপী আয়োজনের অংশ হিসেবে বিকেলে শিক্ষক-কর্মকর্তা বনাম শিক্ষার্থীদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, আসরের পর বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে বিশেষ দোয়া মাহফিল এবং সন্ধ্যায় অডিটোরিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।