বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক অভিযোগ: টাঙ্গাইলে দুদকের গণশুনানি


জহির আহাম্মেদ, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে আনা দেড় শতাধিক দুর্নীতির অভিযোগের ওপর গণশুনানি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৫ আগস্ট) জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দুদক গণশুনানির আয়োজন করে। শুনানি করেন দুদকের কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলী আকবার আজিজী।
শুনানিতে টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন খাল দখলের অভিযোগ আনা হয় পৌরসভার বিরুদ্ধে।
পৌর শহরের শ্যামা খাল দখল করে একাধিক মার্কেট নির্মাণ ও বিভিন্ন খাল উদ্ধারের পরিবর্তে ড্রেন করার অভিযোগ আনা হয়।
এ ছাড়াও বহুতল ভবন নির্মাণের নামে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ করার অভিযোগ আনা হয়েছে সাবেক মেয়রদের বিরুদ্ধে।
সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে টিআর, কাবিটার টাকা আত্মসাদের অভিযোগ আনা হয়।
মামলা দিয়ে হয়রানি অভিযোগ করা হয়েছে বন বিভাগের বিরুদ্ধে।
মিটার না দেখে কয়েক বেশি বিল করার অভিযোগ আনা হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের বিরুদ্ধে।
কালিহাতীর তোফাজ্জল হোসেন খান তুহিন কারিগরি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাতসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়।
দুদক কর্মকর্তারা কিছু অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক সমাধান করেন।
পাশাপাশি বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয় তদন্ত করার ঘোষণা দেন।
কিছু অভিযোগ জেলা প্রশাসন ও জেলা দুদকের কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক শরীফা হকের সভাপতিত্বে অভিযোগের জবাব দেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ও পৌরসভার প্রশাসক শিহাব রায়হান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সঞ্জয় কুমার মহন্ত, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাহাব উদ্দিন প্রমুখ।
এ সময় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও অভিযোগকারীরা উপস্থিত ছিলেন।