তালাত মাহামুদ,নরসিংদীর প্রতিনিধিঃ
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় নরসিংদী জেলা সাবেক যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমানকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামিদের ৫ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
শামীমা নূর পাপিয়ার আইনজীবী শাখাওয়াত উল্লা ভুইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পাপিয়া ও তার স্বামী আগেই আদালতের দেওয়া সাজা ভোগ করে ফেলেছেন। যে কারণে তাদের আর কারাগারে যেতে হচ্ছে না। পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর যাচাইবাছাই শেষে উচ্চ আদালতে আপিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান পাপিয়ার এই আইনজীবী।
গত ৭ আগস্ট মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক রায় ঘোষণার এই তারিখ ধার্য করেন। ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এর আগে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ প্রতিবেদন জমা দেন।
এ মামলায় অভিযোগ, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২২ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেস্তোরাঁর খাবার, মদ, স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড, মিনি বার বাবদ মোট তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ করেন পাপিয়া। ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেন। যার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। দুদকের অনুসন্ধানে সর্বমোট ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদে তথ্যের কথা উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাসাভাড়া বাবদ ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগকৃত এক কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে বিনিয়োগকৃত ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকে তার এবং তার স্বামীর নামে জমাকৃত ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোনো বৈধ উৎস পায়নি দুদক।
এর আগে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে র ্যাব। বিমানবন্দর থানায়ও তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। অপরদিকে গুলশান থানায় মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে আরেকটি মামলা করে সিআইডি। পরে দুদক পাপিয়ার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে।
এরই মধ্যে অর্থ পাচারের মামলায় গত বছরে ২৫ মে পাপিয়ার চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। তবে পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী, পাপিয়ার সহযোগী সাব্বির খন্দকার, শেখ তায়িবা নূর ও জুবায়ের আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় খালাস পান তারা।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এস এম নজরুল ইসলাম, সহ- সম্পাদকঃ জাহিদ হোসেন (সজল)
চৌকস মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক চৌকস ভবন চরকালিগঞ্জ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং আল আমিন প্রিন্টার্স এন্ড প্যাকেজ লিঃ ১৪৩/বি চৌধুরীপাড়া ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৬/৫৭ শরীফ ম্যানশন (৪র্থ তলা) মতিঝিল বা/এ,ঢাকা-১০০
মোবাইলঃ +৮৮০১৭১৬-১২৭৮১১, +৮৮০১৯৩৩-৯৪৮৫৬৭
ই-মেইলঃ dainikchoukos@gmail.com, choukasinfo@gmail.com
ওয়েবসাইটঃ www.dainikchoukos.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত