বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলছেন শিক্ষক দম্পতি

প্রকাশিত: ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২৫

জহির আহাম্মেদ, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :

দীর্ঘ নয় মাস ধরে স্কুলে না গিয়েও নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলছেন এক শিক্ষক দম্পতি।

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের সুরীর চালা আব্দুল হামিদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা এটি।

অভিযুক্তরা হলেন- প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন ও তার স্ত্রী একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাজেরা খাতুন।

কোনো ছুটি ছাড়াই তারা মাসের পর মাস বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত।

সরেজমিন জানা যায়, প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন ও তার স্ত্রী হাজেরা খাতুন প্রায় ৯ মাস ধরে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন না।

কোনো ছুটি ছাড়া তারা মাসের পর মাস স্কুলে অনুপস্থিত।

প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন ২০২৪ সালের (১৮ নভেম্বর) ও তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষক হাজেরা খাতুন ওই মাসের ৭ তারিখ থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত।

বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও ইএফটি (ইলেকট্রনিক ফান্ড টান্সফার) এর মাধ্যমে তারা নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলছেন।

অন্যদিকে, স্থানীয়রা জানান, প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।

তিনি তার স্ত্রীকে অবৈধ ভাবে বিদ্যালয়ে নিয়োগ দিয়েছেন।

এলাকাবাসী ওই প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবিতে কয়েক দফায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন জানান, আমরা বিদ্যালয়ে যেতে ইচ্ছুক।

কিন্তু স্কুলে যাওয়া মতো আমাদের কোনো পরিবেশ নেই।

সভাপতি আমাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন, আমরা এর জবাব দেব।

এ দিকে বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ও উপজেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকা শিক্ষক দম্পতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

সখীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হারুনুর রশিদ জানান, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার কোনো সুযোগ নেই।

ওই দম্পতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।