শত কোটি টাকার মালিক ওসি কামাল বরখাস্ত

প্রকাশিত: ৯:৫৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২৫

জহির আহাম্মেদ, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :

অবৈধ পথে শত কোটির মালিক ওসি কামাল শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয় বিভিন্ন পত্রিকায়। এরপর পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে তদন্ত কমিটি করে পুলিশ। সংবাদ প্রকাশের পরে তদন্ত করে সত্যতা পায় তদন্ত কমিটি।

গত রবিবার (১০ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-২ শাখা থেকে জারি হওয়া ৯টি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপন গুলোতে সই করেন উপ-সচিব নাসিমুল গনি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন)-এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো।

অবসরে পাঠানো কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- নৌ-পুলিশে কর্মরত যমুনা সেতু-পূর্ব নৌ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. কামাল হোসেন, সিআইডির মৌলভীবাজারের পুলিশ পরিদর্শক নুরুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের মধুপুর সার্কেল অফিসের পুলিশ পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক, ট্যুরিস্ট পুলিশের মুন্সীগঞ্জ ও পদ্মা সেতু জোনের পরিদর্শক মামুন অর রশিদ, নারায়ণগঞ্জ জেলার রিজার্ভ অফিসের পুলিশ পরিদর্শক এস এম কামরুজ্জামান, সিআইডি নরসিংদীর পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল কুদ্দুস ফকির, বগুড়ার এপিবিএন-৪-এর পুলিশ পরিদর্শক শিকদার মো. শামীম হোসেন, সিআইডি কন্ট্রোল রুমের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল লতিফ এবং কুলাউড়া রেলওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. সেলিমুজ্জামান।

রাজবাড়ীর সন্তান কামাল হোসেনের নিজ জেলা ছাড়াও রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, শেরপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি, জমি, রিসোর্ট, মাছের খামার, সঞ্চয়পত্র ও একাধিক গাড়ি। সংশ্লিষ্টদের মতে, তার এই সম্পদের মূল্য শতকোটি টাকার ওপরে। স্ত্রী, কন্যা, ভাই, মা-বাবা ছাড়াও নামে-বেনামে এ সব সম্পদ গড়েছেন তিনি।

অভিযোগ রয়েছে, মন্ত্রীর সঙ্গে সুসম্পর্ক ও আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে নানা ভাবে চাঁদাবাজি ও অনিয়মের মাধ্যমে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা।

গাজীপুরের এমসি গার্মেন্টস, মায়ের দোয়া রিয়েল এস্টেটের মালিক গাজীপুরের শিল্পপতি মো. কামরুজ্জামানসহ অনেক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার রয়েছে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা।

জানা গেছে, ক্ষমতাসীনদের ছত্র ছায়ায় নিজের পছন্দমতো থানায় পোস্টিং নিয়ে যতদিন ইচ্ছা ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন কামাল হোসেন।

মূলত গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানা, ময়মনহিংহের ভালুকা ও ত্রিশাল থানায় চাকরি করেই তিনি অঢেল সম্পদের মালিক হন।