ঢাকা, ১১ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

টাঙ্গাইলে কোটি টাকার সম্পদের উৎস নিয়ে এলাকায় তোলপাড়: সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে


প্রকাশিত: ৪:৩৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২৫

অন্তু দাস (হৃদয়), টাঙ্গাইল ব্যুরো :

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে কর্মরত এক সরকারি কর্মচারীর কোটি কোটি টাকার সম্পদের উৎস নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

অভিযুক্ত ওই কর্মচারীর নাম মো. সরোয়ার আলম।

তিনি নাজির কাম ক্যাশিয়ার (সিএ টু ডিডিএলজি) পদে কর্মরত এবং ঘাটাইল উপজেলার বাসিন্দা।

সম্প্রতি টাঙ্গাইল পৌরসভার কোদালিয়া এলাকার বাসিন্দা আলম মিয়া দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সরোয়ার আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ডিসি অফিসে দায়িত্ব পালনকালে জন্মসনদ প্রদান, চাকরি প্রদান, লাইসেন্স ইস্যু ও ফাইল অনুমোদনের ক্ষেত্রে তিনি কমিশন বাণিজ্যের সাথে জড়িত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সরোয়ার আলমের জীবনযাত্রার মান ও বিপুল সম্পদ তার সরকারি বেতনের সাথে সাংঘর্ষিক।

টাঙ্গাইল পৌর শহরের সাবালিয়ায় এলাকায় বিলাসবহুল বাসা, বিল-ঘারিন্দা এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাট, হাজরাঘাট এলাকায় একাধিক জমি, এমনকি বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে তার।

এ ছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, তিনি এসটিএলএস নামের একটি অনলাইন জুয়া কোম্পানির টাঙ্গাইল অঞ্চলের মূল হোতা হিসেবে কাজ করেছেন।

এ কোম্পানি গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে, যার প্রমাণ তার বিকাশ ও নগদ লেনদেনের তথ্য পরীক্ষা করলেই মিলবে।

এ দিকে টাঙ্গাইল পৌরসভার একাধিক কর্মচারীরা অভিযোগ করে বলেন, পৌর সভার সাবেক মেয়র সিরাজুল হক (আলমগীরের) আমলে সরোয়ার পৌরসভার এক অসাধু কর্মচারীর সাথে যোগসাজশ করে একই ব্যক্তির নামে একাধিক জন্মসনদ ও সংশোধনী তৈরি করে বিপুল অর্থ আদায় করেছিল।

পরে বিষয়টি টের পেয়ে পৌর প্রশাসক আইডি-পাসওয়ার্ড নিজের কাছে নিয়ে নেন।

তারা আরও বলেন, স্বল্প বেতনের একজন সরকারি কর্মচারীর পক্ষে এত বিপুল সম্পদ অর্জন সম্ভব নয়।

তারা সরোয়ারের দুর্নীতির তদন্ত ও সম্পদের উৎস উদ্ঘাটনে দুদকের জরুরি অনুসন্ধান দাবি করেছেন।

এ ব্যাপারে সরোয়ার আলম সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণ করেন এবং মন্তব্য করে বলেন আমি কোনো তথ্য দিতে বাধ্য নই।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম জানান, প্রধান কার্যালয়ে দেওয়া অভিযোগ প্রাথমিক বাছাইয়ের পর তাদের কাছে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

লিখিত অভিযোগপত্রটি প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন পেলে তাদের কাছে পাঠানোর পর তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করবেন।