গাজীপুরে নৃশংস হত্যার শিকার সাংবাদিক তুহিন, নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০২৫ স্টাফ রিপোর্টারঃ গাজীপুরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে (৩৮) ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভাটিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে দাদার কবরের পাশে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। এ সময় স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বাদ জুমা তুহিনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নিহতের বড় ভাই মো. সেলিম মিয়া বলেন, “আমার ভাইকে বিনা দোষে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা চাই, দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক।” স্থানীয় নাছির উদ্দিন জানান, তুহিন ছিলেন অত্যন্ত ভালো মানুষ। তার অকাল মৃত্যুতে স্ত্রী মুক্তা আক্তার ও দুই ছোট ছেলে—তৌকির (৭) ও ফাহিম (৩)—অসহায় হয়ে পড়েছেন। তিনি সরকারের কাছে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে গাজীপুর নগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একজনকে ধাওয়া করছিল। সাংবাদিক তুহিন সেই দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করছিলেন। এসময় দুর্বৃত্তরা তাকে ধাওয়া করে কুপিয়ে হত্যা করে। মানুষ হিসেবে ও সাংবাদিক হিসেবে অবদান ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের সন্তান তুহিন পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট। ২০১২ সালে সংবাদপত্রে কাজ শুরু করেন তিনি। সাংবাদিকতার পাশাপাশি মানুষের সহায়তায় তিনি সবসময় এগিয়ে আসতেন। ৭৫ বছর বয়সী মা সাবিহা খাতুন জানান, মৃত্যুর একদিন আগে ছেলে বলেছিলেন আগামী মাসে তার চোখের চিকিৎসা করাবেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের আগেই তিনি চলে গেলেন। বৃদ্ধ বাবা হাসান জামাল ছেলের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। আহাজারি করতে করতে তিনি বলেন, “আমার ছেলে কী অপরাধ করেছিল? তোমরা আমার ছেলেকে এনে দাও।” তুহিনের মৃত্যুতে তার পরিবার, সহকর্মী ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সবাই এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন। SHARES সারাদেশ বিষয়: