আশাশুনির মানিকখালি-বড়দল সড়ক বেহাল দশায়, যান চলাচলে দুর্ভোগ—দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়দের দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ১১:৪৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৪, ২০২৫ মোঃ হাফিজ, বুরো চিফ, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ মানিকখালি ব্রিজ থেকে বড়দল মেইন সড়কের ফকরাবাদ গার্লস স্কুলসংলগ্ন অংশটি বর্তমানে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এই সড়ক দিয়ে চলাচল এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সম্ভব হচ্ছে। এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টদের মতে, এটি শুধু স্থানীয় জনগণের নয়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অনেক জেলার মানুষজনের চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যান, ইঞ্জিনভ্যান, নসিমন-করিমন, যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাক চলাচল করে। এটি আশাশুনি, পাইকগাছা, কয়রা, তালা, শ্যামনগর, দেবহাটা, কালীগঞ্জ, সাতক্ষীরা জেলা এবং খুলনা বিভাগের সংযোগ সড়ক হিসেবেও পরিচিত। কিন্তু সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় এখন এটি মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় স্টাটার আকরাম হোসেন জানান, সড়কের অন্তত ১০০টি স্থানে ভয়াবহ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যাত্রীবাহী বাস চলাচলে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। ইটের খোয়া ও ধাক্কায় প্রায় প্রতিদিনই যানবাহনের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এমনকি যাত্রীদেরও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। ফকরাবাদ গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সনাতন বৈরাগী জানান, বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে বড় গর্ত ও যানজটের কারণে ১৩২ জন ছাত্রী পড়াশোনায় মারাত্মক বিঘ্নের শিকার হচ্ছে। যানজটের সময় বাস-ট্রাক বিদ্যালয়ের প্রাচীরে ধাক্কা দিচ্ছে, এতে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ফকরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মিতা মন্ডল জানান, তার বিদ্যালয়ের ২০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ১৭০ জন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। প্রতিনিয়ত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। দ্রুত সড়কটি সংস্কার না করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ জানান, “বৃষ্টির কারণে রাস্তার অনেক জায়গায় ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি আগে জানা ছিল না। আপনি বলায় আজই লোক পাঠিয়ে দুই-তিন দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এলাকাবাসী দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যাতে করে দীর্ঘদিনের এই দুর্ভোগের অবসান ঘটে। SHARES সারাদেশ বিষয়: