শেরপুর সদর উপজেলার কুসুমহাটি কৃষি ব্যাংক হলো দুর্নীতির আখড়া


মো: কামরুজ্জামান মোল্লা ,বিশেষ প্রতিনিধ ,শেরপুর ঃ
শেরপুর সদর উপজেলার কুসুমহাটি কৃষি বাংকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেখানকার সেকেন্ড অফিসার শামসুন্নাহার আশা ও স্থানীয় কিছু দালাল মিলে দিনের পর দিন ঠকবাজি আর লুটপাট করে যাচ্ছে।
বলায়েরচর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের মোছা. খাদিজা খাতুন অভিযোগ করেন, “আমি জানতাম ২ লাখ টাকার ঋণ পেয়েছি। অথচ পরে শুনি, আমার নামে ব্যাংক ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঋণ দিয়েছে। দালাল ইসমাইল ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছেন, আর বাকি ৫০ হাজার টাকার কোনো হদিস নেই।”
একই ইউনিয়নের হেজাক মিয়ার অভিযোগ, “আমার নামে আড়াই লাখ টাকা ঋণ ছাড় হলেও হাতে পেয়েছি মাত্র ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। বাকি ৯৫ হাজার টাকার কোনও হিসাব নেই। এই টাকা কে নিলো কোথায় গেলো তার কিছুই জানিনা!
ডোবারচর গ্রামের আব্দুল করিম অভিযোগ করেছেন, “আমি ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছি। পরে ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারি আমার নামে ১ লাখ ১০ হাজার টাকার ঋণ ছাড় করা হয়েছে। আমাকে অতিরিক্ত টাকার ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি।”
গত ২০ জুলাই ২০ জুলাই বিকেলে প্রতারণার শিকার হওয়া গ্রাহকরা ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করেন। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ব্যাংকের ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন রাত সাড়ে বারোটায় সেকেন্ড অফিসার শামসুন্নাহার আশার কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনজন গ্রাহককে ৪০ হাজার টাকা নগদ ফেরত দেন এবং আরও ৬০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
শেষমেষ রাত দেড়টার দিকে ম্যানেজারকে ব্যাংক থেকে পুলিশ পাহারায় সরিয়ে নেওয়া হয়।
এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, অনেকের সুদের পার্সেন্ট বাড়িয়েও প্রতারণা করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। আর সেই টাকা ঢুকে যাচ্ছে ব্যাংক কর্মকর্তার পকেটে।