টাঙ্গাইলে সন্তানের সামনে মা’কে হত্যা: বাবা পলাতক


অন্তু দাস (হৃদয়), টাঙ্গাইল ব্যুরো :
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় ছোট দুই সন্তানের সামনে কাকলি বেগম (৩০) নামের এক নারীকে তাঁর স্বামী ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মেহেদী হাসান (৪০)।
তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
রোববার (৩ আগস্ট) সকাল ৯ টার দিকে সখীপুর পৌরসভার জেলখানা মোড় এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
মেহেদী হাসান সখীপুর উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাদীঘি গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে।
তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সখীপুর পৌরসভার জেলখানা মোড় এলাকার একটি বাসা ভাড়া করে থাকতেন।
মেহেদী হাসান ও কাকলি (দম্পতির) দুই সন্তান মেয়ে মেরি ও ছেলে মিরাজ হত্যাকাণ্ডের এ সব তথ্য জানায়।
শিশু দুটির আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাদের মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
পরে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাকলি কে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে, কয়েক মাস ধরে মেহেদী ও কাকলির মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল।
পরে রবিবার সকালেও তাঁদের ৯ বছরের শিশু ছেলে মিরাজ ও ১৩ বছরের মেয়ে মেরি আক্তারের সামনেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়।
একপর্যায়ে মেহেদী তাঁর স্ত্রীর পিঠে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন।
এ সময় মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে সন্তানেরা চিৎকার শুরু করেন।
পরে স্থানীয়রা কাকলিকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই কাকলির মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম ভূঞা বলেন, কাকলির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ ছাড়াও পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা করতে আসেননি এখনো।